রাজশাহী শনিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৪, ৮ই বৈশাখ ১৪৩১

লুঙ্গি ধুতে দেরি, স্ত্রীর মাথার চুল কেটে ডিভোর্স দিলেন স্বামী


প্রকাশিত:
৪ জানুয়ারী ২০২৩ ১১:০৯

আপডেট:
২০ এপ্রিল ২০২৪ ১২:৪৫

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীর বাঘায় তুচ্ছ ঘটনার জেরে স্ত্রীর মাথার চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্ত্রীকে মারপিট করে ভয়ভীতি দেখিয়ে ডিভোর্স দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) বিকেলে বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অভিযুক্ত স্বামী আমির উদ্দিন বাঘা পৌর এলাকার উত্তর গাওপাড়া গ্রামের ছামির উদ্দিনের ছেলে। আর ভুক্তভোগী স্ত্রী জরিনা খাতুন পার্শ্ববর্তী নাটোরের লালপুর উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের উমরপুর গ্রামের দিনমজুর হারেজ উদ্দিনের মেয়ে।

জানা যায়, প্রায় এক বছর আগে আমির উদ্দিনের সাথে জরিনা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই কারণে অকারণে স্ত্রীকে নির্যাতন ও মারপিট করতেন তিনি। স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে কয়েকবার পিতার বাড়িতে চলেও আসেন জরিনা। অনেকবার বুঝিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর দুই/এক দিন ভালো থাকার পর আবারও একই কায়দায় নির্যাতন করতে থাকেন।

গত রোববার (১ জানুয়ারি) দুপুরে লুঙ্গি ধুয়ে দিতে দেরি হওয়ার কারণে স্ত্রীকে বেধড়ক মারপিট করে স্বামী আমির উদ্দিন। এক পর্যায়ে স্ত্রী জরিনা খাতুনের মাথার চুল কেটে দেন তিনি।

এছাড়াও স্ত্রীকে নানা রকম ভয়ভীতি দেখিয়ে স্থানীয় কাজী অফিসে গিয়ে ডির্ভোস দিয়ে পিতার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পিতার বাড়িতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে পর দিন সোমবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে পরিবারের লোকজন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। বর্তমানে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মহিলা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ বিষয়ে জরিনা খাতুনের বোন চম্পা বেগম বলেন, আমার পিতা অত্যন্ত দরিদ্র মানুষ। দুঃখ-কষ্ট করে বোনকে স্বামীর সংসার করাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বোনের কপালে তা আর হলো না। বোনকে নিয়ে থানায় গিয়েছিলাম। আগে চিকিৎসা নিয়ে থানায় আসতে বলেছেন পুলিশ। বোনকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা নেওয়া হচ্ছে।

জরিনা খাতুন বলেন, অভাবের তাড়নায় আমি সরেরহাট এতিম খানায় ছিলাম। সেখানে তার সাথে সম্পর্ক, পরে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সংসারে অশান্তি লেগে ছিল। কারণে অকারণে যখন তখন মারধর করতো। এমনকি আমার মাথার চুল কেটে মারপিট করে ভয়ভীতি দেখিয়ে কাজী অফিসে গিয়ে ডিভোর্স দিয়ে নিয়েছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে আমির উদ্দিনের মোবাইলে একাধিক বার কল করেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

বাঘা থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এ ধরনের এক নারী থানায় এসেছিলেন। তিনি অসুস্থ হওয়ায় আগে চিকিৎসা নিতে বলা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

 

আরপি/এসআর-০২



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top