রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ১৩ই মার্চ ২০২৫, ২৯শে ফাল্গুন ১৪৩১

‘স্মার্ট বাংলাদেশের রূপকার সজীব ওয়াজেদ জয়’


প্রকাশিত:
১৬ নভেম্বর ২০২২ ০৭:১৯

আপডেট:
১৩ মার্চ ২০২৫ ০৫:১২

ছবি: রাজশাহী পোস্ট

রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরউল্লাহ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ দিয়েছেন, শেখ হাসিনা দিয়েছেন ডিজিটাল বাংলাদেশ আর তাঁরই সুযোগ্য তনয় সজীব ওয়াজেদ জয় হলেন স্মার্ট বাংলাদেশের রূপকার। তিনি সবসময় নতুন নতুন ধারণা দিয়ে বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তিকে আজকের উচ্চতায় নিয়ে এসেছেন।

মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল মাঠে ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জিএসএম জাফরউল্লাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০টি যুগোপযোগী উদ্ভাবনী উদ্যোগের কারণেই আজকে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ ডিজিটাল দেশে রূপান্তরিত হয়েছে।

প্রযুক্তির উৎকর্ষের সঙ্গে তাল মিলিয়ে উদ্ভাবনী শক্তি কাজে লাগিয়ে আমাদের নিত্যনতুন উদ্ভাবন করতে হবে উল্লেখ করে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, এখন পৃথিবীর জনসংখ্যা আটশ কোটি। একশ বছর আগে যেখানে পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল দুশো কোটি, আজকে সেখানে একশ বছরের ব্যবধানে জনসংখ্যা বেড়েছে চারগুণ। তাই ডিজিটালভাবে স্মার্ট হওয়ার বিকল্প নাই, সেজন্য এখন বিশ্বব্যাপী স্মার্ট হওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ইতোমধ্যে অনেক এগিয়েছে মন্তব্য করে জাফরউল্লাহ বলেন, আমরা উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে এখন খাদ্য উৎপাদন করে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। মাছ উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছি।

এছাড়াও বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনে বিশ্বে প্রথম দিকে জায়গায় করে নিতে পেরেছি। এখন আমরা স্মার্ট প্রযুক্তিতে যাবো, আর এটা করতে পারলে বাংলাদেশ বিশ্বের দুশোটি দেশের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে জায়গা করে নিতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরএমপি কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক, জেলা শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দিন, রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক ড. মোসা. নূরজাহান বেগম বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. রবিউল হক। স্বাগত বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জয়া মারিয়া পেরেরা।

প্রসঙ্গত, উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে উদ্ভাবকদের উদ্ভাবনী সক্ষমতা কাজে লাগিয়ে প্রযুক্তিবান্ধব নানাবিধ উদ্ভাবনের মাধ্যমে নাগরিক জীবনকে আরও সহজ ও সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে প্রতিবছর এ মেলার আয়োজন করা হয়।

এবারের মেলায় উদ্ভাবনী উদ্যোগ ও স্টার্ট আপ (উদ্ভাবক ও শিক্ষার্থী), ডিজিটাল সেবা (সরকারি অফিসসমূহের সেবা), হাতের মুঠোয় সেবা (ডিজিটাল সেন্টারের সেবা যেমন- এজেন্ট ব্যাংকিং একশপ, সরকারি-বেসরকারি ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা ইত্যাদি) এবং শিক্ষা, দক্ষতা, উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান (শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিসিক, কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্র, যুব উন্নয়ন অধিদফতর ইত্যাদির উদ্ভাবনী উদ্যোগ) বিষয়ে চারটি প্যাভিলিয়ন স্থাপন করা হয়। মেলায় চারটি প্যাভিলিয়নে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা তাদের বিভিন্ন উদ্ভাবনী কর্মপরিকল্পনা এবং বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দফতর তাদের ডিজিটাল সেবাসমূহ প্রদর্শন করে। বুধবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে দুই দিনব্যাপী এই মেলার সমাপনী অনুষ্ঠিত হবে।

 

 

আরপি/এসআর-০৮



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top