প্রেমের বিয়ের পর ঋণগ্রস্ত, টাকার লোভে ভ্যানচালককে হত্যা
রাজশাহীর বাঘায় নিখোঁজের ৩ দিন পর এক স্কুলছাত্রের লাশ হওয়ার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মুন্না (১৯) নামের এক কিশোরকে গ্রেফতার করেছে বাঘা থানা পুলিশ।
বুধবার (২ নভেম্বর) দিনগত রাতে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম আড়পাড়া এলাকা থেকে ওই কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার মুন্না একই এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) রাতে রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতেখায়ের আলম গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে বুধবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম তুলসী আম বাগান থেকে স্কুলছাত্র সাব্বির হোসেনের (১৬) মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ইফতেখায়ের আলম ঘটনার বিবরণ দিয়ে জানান, গত রোববার (৩০ অক্টোবর) বাঘার আড়পাড়া গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে সাব্বির ব্যাটারিচালিত ভ্যানসহ নিখোঁজ ছিল। শারীরিক প্রতিবন্ধী সাব্বির ১০ম শ্রেণিতে পড়াশোনার পাশাপাশি পরিবারকে সহায়তা করতে অবসর সময়ে ভ্যান চালাত।
সোমবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের আটঘরিয়া এলাকার চারঘাট-ঈশ্বরদী সড়কের পাশ থেকে ভ্যানটি ব্যাটারিবিহীন অবস্থায় পাওয়া যায়। বুধবার (২ অক্টোবর) সকালে ওই ভ্যান চালকের লাশ মনিগ্রাম ইউনিয়নের তুলশিপুর গ্রামের একটি আমবাগানে অর্ধগলিত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তদন্তকালে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে স্বল্প সময়ের মধ্যে আসামি মুন্নাকে শনাক্ত করে আটক করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি জানায়, মাস খানেক আগে সে প্রেম করে বিয়ে করে কিছু টাকা ঋণগ্রস্ত হয়েছে। ভ্যানের ব্যাটারি বিক্রি করলে সেই টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করতে পারবে—এই আশায় সে পরিকল্পিতভাবে ভ্যানসহ সাব্বিরকে বাড়ি থেকে বেশ দূরে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে নির্জন আমবাগানে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে ভ্যান নিয়ে হাবাসপুর বাজারে মাইনুলের দোকানে সাড়ে ৮ হাজার টাকায় ব্যাটারি বিক্রি করে বাজার থেকে কিছু দূরে ভ্যানটি রেখে চলে যায়।
গ্রেফতারকৃত কিশোরকে আদালতে হাজির করলে ১৬৪ ধারায় সে জবানবন্দি দিয়েছে। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান পুলিশ কর্মকর্তা।
আরপি/এসআর-০৫
বিষয়: গ্রেফতার
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: