পুঠিয়ায় মসজিদ নির্মাণে চাঁদাবাজি, কারাগারে চেয়ারম্যান পুত্র
রাজশাহীর পুঠিয়ায় নির্মাণাধীন মডেল মসজিদে চাঁদাবাজির অভিযোগে এক ইউপি চেয়ারম্যানের পুত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নির্মাণাধীন মসজিদে যুবক ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে, মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) রাতে পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর বাজারের ট্রাফিক মোড় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার যুবকের নাম- সাকলায়েন হোসেন অমি (২৩)। তিনি রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার শলুয়া ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে। আবুল কালাম শলুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় চারঘাট উপজেলার শলুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালামের ছেলেসহ ৭ যুবক পুঠিয়া উপজেলা পরিষদের চত্বরে নির্মাণাধীন মডেল মসজিদের ম্যানেজার আনোয়ার হোসেনের কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। আনোয়ার হোসেন চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করে।
তারা আনোয়ার হোসেনের মাথায় লোহার রড দিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে সেখানকার শ্রমিকরা তাকে উদ্ধার করে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তার শরীরের অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠান।
এ ঘটনায় শনিবার (২২ অক্টোবর) আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে পুঠিয়া থানায় ৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় পুঠিয়া থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।
এ ব্যাপারে পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, চাঁদাবাজির মামলার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার রাতে সাকলায়েন হোসেন অমিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার দুপুরের দিকে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরপি/ এসএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: