রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২রা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১

অর্থের অভাবে রাজমিস্ত্রির কাজ করা রাবি শিক্ষার্থীর পাশে মেয়র লিটন


প্রকাশিত:
২১ অক্টোবর ২০২২ ২৩:১৯

আপডেট:
২ মে ২০২৪ ১২:০৯

ফাইল ছবি

অর্থের অভাবে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন। পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণে সেই কাজ থেকে উপার্জিত অর্থ দিয়েই চলতো তার পড়াশোনাসহ যাবতীয় খরচ।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন সংবাদ দেখে সেই ইমরান হোসেনের পাশে দাঁড়িয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। ইমরান হোসেনের পড়াশোনার খরচসহ সার্বিক দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি।

তাৎক্ষণিকভাবে রাসিক মেয়র তার ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুল ওয়াহেদ খান টিটুকে মেধাবী শিক্ষার্থী ইমরান হোসেনের সাথে যোগাযোগ করার নির্দেশ দেন।

ইমরান হোসেন পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুর রশিদ মাঝির ছেলে। অভাবের সংসারে আট সন্তানের মধ্যে পঞ্চম ইমরান হোসেন। তবে দারিদ্রতা ঠেকাতে পারেনি অদম্য মেধাবী ইমরান হোসেনের পথচলা।

কুয়াকাটা খানাবাদ ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হন। আগামী ১ নভেম্বর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তার ক্লাস শুরু হওয়ার কথা।

এ ব্যাপারে আব্দুল ওয়াহেদ খান টিটু জানান, বুধবার (১৯ অক্টোবর) রাতে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে ‘পড়াশোনার খরচ চালাতে রাজমিস্ত্রির কাজে রাবি শিক্ষার্থী’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন মহোদয় দেখতে পান।

মেয়র মহোদয়ের নির্দেশে মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে মেধাবী শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন, তার পরিবার ও শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। মেয়র মহোদয় ব্যক্তিগত উদ্যোগে অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থী ইমরান হোসেনের পড়াশোনার খরচ, থাকা-খাওয়াসহ তার সকল খরচ ব্যয় করবেন।

শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন বলেন, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র স্যারের পক্ষ থেকে আমার সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। মেয়র স্যার আমার পড়াশোনাসহ সার্বিক দায়িত্ব নিবেন বলে জানিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, রাজশাহীতে গিয়ে পড়াশোনার খরচ চালানো নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তায় ছিলাম। এখন দুচিন্তামুক্ত হলাম। মেয়র স্যার সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন, এতে আমি ও আমার পরিবার অনেক খুঁশি। আমরা মেয়র স্যারের প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব।

এ বিষয়ে কুয়াকাটা বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান বলেন, পারিবারিক অসচ্ছলতায় চাপা পড়ে নিষ্পেষিত ইমরান মেধার প্রমান দিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হয়েছে। ভর্তি হওয়ার পরে পড়াশোনার খরচ চালানো নিয়ে সে অনেক দুশ্চিন্তায় ছিল। পড়াশোনার খরচ জোগাতে রাজমিস্ত্রীর কাজও করছিল।

মেধাবী ইমরানের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। মেয়র মহোদয়ের এই মহতি কাজের সাধুবাদ জানাই। আমরা শিক্ষকবৃন্দ ও এলাকাবাসী মেয়র মহোদয়ের প্রতি কৃতজ্ঞ বলেও জানান তিনি।

 

 

 

আরপি/এসআর-০২



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top