রাজশাহী শনিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৪, ৮ই বৈশাখ ১৪৩১

গ্রেনেড হামলা: রাজশাহী মহানগর আওয়ামীলীগের কর্মসূচী


প্রকাশিত:
২২ আগস্ট ২০১৯ ০৪:৩৬

আপডেট:
২২ আগস্ট ২০১৯ ১০:০২

শহীদদের প্রতি সন্মান জানাতে পুষ্পস্তবক অর্পন

রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে চালানো ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় শহীদদের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের সভাপতিত্বে এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় ।

সকাল ১০ টার দিকে কার্যালয়ের পাশে স্বাধীনতা চত্ত্বরে গ্রেনেড হামলায় শহীদদের প্রতিকৃতিতে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন এবং মহানগর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী এবং অঙ্গ সংগঠনের নেত্ববৃন্দও শহীদদের প্রতি সন্মান জানাতে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন।

 ্হাএ সময় মহানগর আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবী শাহীন আকতার রেনী, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারসহ কৃষকলীগ, শ্রমিকলীগ এবং অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনা স্মৃতিচারণ করে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, গ্রেডে হামলার সেদিনের সমাবেশে আমিও উপস্থিত ছিলাম। মঞ্চের পাশে দাঁড়িয়ে নেত্রীর বক্তব্য শুনছিলাম। জননেত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য শেষ। কয়েকজন সাংবাদিক নেতৃকে বললেন আমরা পরে এসছি এর একটু যদি কিছু বলতেন। নেতৃ আবার যেই দু- একটা কেথা বলেছেন  সঙ্গে সঙ্গে বিকট একটা শব্দ হয়। প্রথম শব্দে কিছু বুঝে উঠতে পারিনি। এর কয়েক সেকেন্ড পর আরেকটি বিকট শব্দ হয়। তখন বুঝতে পারি কিছু একটা ঘটেছে। এরপর মানুষের ছুটোছুটিতে ধাক্কায় আমি পড়ে যাই। আমার উপর দিয়ে কত মানুষ যে চলে যাই।

আমার চশমা আর হাতের মোবাইল পড়ে যায়। আমি মোবাইলটা তুলে নিই কিন্তু চশমা পাইনি। আল্লার রহমতে পদদলিত হয়ে মারা যায়নি।

এরপর আমি যখন উঠে দাঁড়াই, কিছুদুর যাওয়ার পরে ধাক্কা খেয়ে আরেকবার পড়ে যাই। পরেরবার উঠে যখন দাঁড়িয়েছি, দেখলাম গাড়ির সিটে বসে কিছুটা সামনের দিকে হেলে গালে হাত দিয়ে আছেন নেত্রী। গাড়ির জানালায় একদম তাজা রক্ত। কিছুক্ষণ পরই আমার সামনে দিয়ে নেত্রীর গাড়ি চলে গেল। ঘটনাস্থল থেকে যে যেভাবে পারছে, আহতদের রিকশা, ভ্যানে করে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে ঢাকা মেডিকেল কলেজের দিকে। এসব আমার নিজের চোখে দেখা।

মেয়র আরও বলেন, খালেদা জিয়ার কুলাঙ্গার সন্তান তারেক জিয়া হাওয়া ভবনে বসে থেকে হত্যার নীলনকশা করেছিল। সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে পুরোপুরি ব্যবহার করেছিল সেদিন। সেদিনের মঞ্চে জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের প্রায় সকল শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন । একসাথে সব নেতৃবৃন্দকে হত্যা করে আওয়ামীলীগেকে নেতৃত্বশূন্য করার নীলনকশা ছিল তাদের।

তৎকালীন ক্ষমতাসীন চার দলীয় সরকার যে হামলা করেছিল তার প্রমান পরে কি ঘটনাস্থলে অবিস্ফোরত গ্রেনেড। পরবর্তীতে বিস্ফোরিত করে আলামত নষ্ট করা হয়েছিল। কারন, সেগুলো থেকে হাতের ছাপ পাওয়া যেত।

আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবী শাহীন আকতার রেনী, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সৈয়দ শাহাদত হোসেন, সৈয়দ শাহাদত হোসেন, অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, মোঃ রেজাউল ইসলাম বাবুল, উপ-পরিচালক মীর ইসতিয়াক আহম্মেদ লিমন প্রমুখ।

আরপি/ এমএইচ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top