লবন ইস্যুতে গোদাগাড়ীতে মাঠে প্রশাসন
লবন ইস্যুতে গোদাগাড়ীতে মাঠে নেমেছে স্থানীয় প্রশাসন। ‘লবন’ নিয়ে গুজব ছড়িয়ে বেশি দামে লবন বিক্রি করছে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী।লবনের কেজি ২’শ টাকা হবে’ এমন গুজব হঠাৎ করেই ছড়িয়ে পড়েছে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বিভিন্ন হাটে-বাজারে। মুহুর্তের মধ্যে ২০ টাকা কেজির লবন ৩০-৪০ টাকা, ৩০ টাকা কেজির লবন ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি শুরু করে ব্যবসায়ীরা।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিমুল আকতার, গোদাগাড়ী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খাইরুল ইসলাম, বণিব সমিতির সভাপতি শফিকুল ইসলাম, স্থানীয় কাউন্সিলর, সাংবাদিকরা বাজারে ছুটে যান সকলকে সচেতন করতে। বিভিন্ন বাজারে গিয়ে মনিটরিংয়ের পাশাপাশি গুজব প্রতিরোধে সচেতন করা হচ্ছে। এমনকি সকল এলাকাই গুজবে কান না দেওয়ার জন্য সচেতনতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে।
এলাকাবাসীরা জানান, গতরাত (সোমবার) ১২টা থেকে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছে ফোন আসতে থাকে লবন ২শ টাকা কেজি হবে। এমন গুজবে সকাল থেকেই নারী-পুরুষ সব বয়সের লোক বস্তা-ব্যাগ ভরে ভরে লবন কিনতে থাকে। মুহুর্তের মধ্যে লবনের দাম বৃদ্ধি পায়। ৩০ টাকা কেজি লবনের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৫০ টাকায়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এই গুজব ছড়ানোর সাথে সাথেই হৈ চৈ লেগে যায়।
মহিশালবাড়ী এলাকার করিম জানান, লবনের দাম বৃদ্ধি নিয়ে হঠাৎ করে গুজব ছড়ানো হয়। গুজবে গ্রামের সাধারণ মানুষরা লবন কিনতে বিভিন্ন হাটে-বাজারে ভিড় করে। ১৫/১৬টাকা কেজির খোলা লবন মুহুর্তের মধ্যে ৩৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি শুরু করে।
উপজেলার নির্বাহী অফিসার শিমুল আকতার বলেন, একটি চক্র গুজব ছড়িয়ে বেশি দামে লবন বিক্রি করার পায়তারা করছে। বিষয়টি জানার পর পরই সকলকে সাথে নিয়ে বিভিন্ন বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। তাছাড়া গুজব প্রতিরোধে সকলকে কাজ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যারাই এই ধরনের কাজ করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরপি/আআ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: