রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে দুই চাঁদাবাজ আটক

ছবি: আটককৃত আসামীরা
রাজশাহী মহানগরীতে ২ ছিনতাইকারী ও চাঁদাবাজকে আটক করেছে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা নগরীর চন্দ্রিমা থানার মেহেরচন্ডি কড়াইতলা গ্রামের মৃত খয়রাত আলীর ছেলে জাহেদুল ইসলাম ওরফে জহুরুল ওরফে রেন্টু (৩৫)। সে বোয়ালিয়া মডেল থানার বালিয়াপুকুর বড় বটতলার বাসিন্দা। অপর জন নগরীর সাধুর মোড়ের মৃত ওয়াজেদ আলীর ছেলে আলীমুজ্জামান আলীম (৩২)।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, সাদাব কিবরিয়া (১৭) গত ১০ জানুয়ারি বর্ণালীর মোড় থেকে হেঁটে উপশহর তার বন্ধুর বাসায় যাওয়ার পথে উপশহর উত্তরা ক্লিনিকের মোড়ে পৌঁছামাত্র আসামী জাহেদুল ও আলীমুজ্জামান সাদাবকে ভয়ভীতি দেখিয়ে একটি রিক্সা যোগে নগরীর বিভিন্ন গলি রাস্তা ঘুরে ঘুরে সর্বশেষ আলিফ-লাম-মিম ভাটার মোড়ে নিয়ে যায়।
সেখানে গিয়ে আসামীদ্বয় সাদাবের কাছে থাকা মোবাইল ফোন হতে তার মায়ের কাছে ফোন দিয়ে নিজেকে ১৯নং ওয়ার্ডের নেতা পরিচয় দিয়ে বলেন, আপনার ছেলে আমার হেফাজতে আছে, তাকে মারার জন্য লোক ঠিক করা হয়েছে, আপনি দ্রুত ২০ হাজার টাকা পাঠান। টাকা না দিলে আপনার ছেলেকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে। সাদাবের মা শাহানা আক্তার (৪৪) আসামীদের ভয়ে তাৎক্ষণিক ১৫ হাজার ৩ শত টাকা বিকাশে প্রেরণ করেন।
টাকা পাঠানোর আনুমানিক ৩৫ মিনিট পর তার ছেলে বাসায় ফিরে আসেন। আসামীরা সাদাবকে ছেড়ে দেয়ার সময় প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে তার নিকটে থাকা মোবাইল ফোন সেটটি কেড়ে নেয়।
উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে বুধবার রাত ৮ টায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলের আশেপাশেরে আরএমপি'র সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা ও সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সহযোগিতায় তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্লেষণের মাধ্যমে বোয়ালিয়া থানার নিউ মার্কেট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ছিনতাইকারী-চাঁদাবাজ জাহেদুল ও আলীমুজ্জামানকে আটক করা হয়। এসময় আসামীদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, আসামী মোঃ জাহেদুল ইসলাম একজন কুখ্যাত ছিনতাইকারী ও চাঁদাবাজ। তার বিরুদ্ধে একাধিক ছিনতাই, ডাকাতির প্রস্তুতি ও মাদকের মামলা রয়েছে। আটককৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে আরএমপি।
আরপি/এসআর-১২
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: