রাজশাহীতে স্কুল শিক্ষক স্ত্রীর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন, স্বামী পলাতক

রাজশাহী মহানগরীর মহিষবাথান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফাতেমা খাতুনের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়েছে তার পাষণ্ড স্বামী। বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটায় স্বামী সাদিকুল ইসলাম। তার বাড়ি নগরীর বুলনপুর ঘোষপাড়া এলাকায়। তিনি ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সাজ্জাদ হোসেনের ছেলে।
এতে ওই শিক্ষিকার মুখ ও বুক পুড়ে গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন ফাতেমা। ঘটনার পর থেকে তার স্বামী পলাতক রয়েূছে।
নগরীর রাজপাড়া থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দগদ্ধ শিক্ষিকার স্বামীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আহতের ছোট বোন নূরজাহান খাতুন জানান, বুধবার দিবাগত রাত ১ টার দিকে কিছু বোঝার আগেই গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় সাদিকুল ইসলাম। খবর পেয়ে পরে ফাতেমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আগুনে তার মুখ, বুক ও দুই হাত পুড়ে গেছে।
নূর জাহান জানান, বিয়ের পর থেকেই গত ২০ বছর ধরে বোনকে নির্যাতন করে আসছিলো সাদিকুল। পারিবারিক ও সামাজিক চাপের কারণে বিষয়টি এতদিন ধরে ধামাচাপ দেওয়া হচ্ছিলো। আবার দুই সন্তান থাকায় নির্যাতন সয়েই এতদিন সংসার করে আসছিলো তার বোন ফাতেমা। এরই মধ্যে ফাতেমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয় সাদিকুল।
এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করবেন বলে জানান নূরজাহান।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: