রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীতে চার পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা


প্রকাশিত:
২৬ নভেম্বর ২০২১ ২৩:০৩

আপডেট:
২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:১০

ফাইল ছবি

রাজশাহীতে ৪ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজশাহী জেলার সিনিয়র স্পেশাল ও দায়রা জজ আদালতে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন রাজশাহী আইনজীবী সমিতির সদস্য এ্যাডভোকেট সাদেক মিয়া।

মামলার আসামীরা হলেন, বানেশ্বর পুলিশ বক্সের ট্রাফিক অফিসার অভিজিৎ (৪০), এএসআই সাইফুল (৩৮), দূর্গাপুর থানার কন্সটেবল হেলাল (৫০) ও খোরশেদ (৩৯)।

মামলার আরজি থেকে জানা যায়, গত ২০ নভেম্বর বেলা ১২টার সময় মামলার বাদী এডভোকেট সাদেক মিয়া তার চাচাতো ভাই মেহেদী হাসানকে নিয়ে মোটরসাইকেলে বেড়াতে বের হলে দূর্গাপুর থানার মোড় ইসলামী ব্যাংকের সামনে ট্রাফিক পুলিশের পরিচয়ে তাদের গতি রোধ করে। এ সময় মামলার বাদী তার মোটরসাইকেলের বৈধ কাগজাদী প্রদর্শন করলেও মামলার আসামী বাদীর কাছে ২ হাজার টাকা ঘুষ দাবী করেন। বাদী নিজেকে আইনজীবী পরিচয় দিলে বাদী এবং পুলিশ সদস্যের মধ্যে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে বাদী ও আসামীদের মধ্যে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হলে আসামীরা বাদী ও তার ভাইকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বাদীর মোটরসাইকেল কেড়ে নেয়।

মামলার সূত্র থেকে আরো জানা যায়, বাদীকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে টেনে হেচড়ে থানা নিয়ে একটি বদ্ধ ঘরে আটকে রাখে। বাদী দূর্গাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা চেষ্টা করলে আসামীরা বাদীর মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এমতাবস্থায় এলাকায় জানাজানি হলে সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করতে এলে আসামীগন বাদীতে ছেড়ে দেয়।

এবিষয়ে এড. সাদেক মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে আমার সাথে এমন আচরণ করা হবে এটা মোটেও আশা করিনি। আমি আমার পরিচয় দেয়ার পরো আসামীরা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল দেন। ২২ নভেম্বর আমি থানায় মামলা করতে গেলে ওসি সাহেব তা গ্রহন না করে মামলা না করার পরামর্শ দেন।

এ ব্যাপারে দূর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: হাসমত আলী বলেন, এ বিষয়টি ঘটনার দিনই সমাধান করে দিয়েছি। পুলিশ বা আইনজীবী কারো কোন অভিযোগ ছিলোনা। আর এই ঘটনার ব্যাপারে পরবর্তিতে তিনি কখনোই আমার কাছে আসেননি। কি কারণে তিনি মামলা করলেন এ বষিয়টিও আমার জানা নাই।

 

 

আরপি/এসআর-০৭



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top