রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ১৮ই এপ্রিল ২০২৪, ৬ই বৈশাখ ১৪৩১

ভাইয়ের বিরুদ্ধে বাড়ি নির্মাণকাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ


প্রকাশিত:
৭ নভেম্বর ২০২১ ০৫:৩২

আপডেট:
১৮ এপ্রিল ২০২৪ ১২:৩৭

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীতে বাড়ি নির্মাণ কাজে বাঁধা দেওয়ায় ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।শনিবার(০৬ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান ছোট ভাই।

অভিযোগকারী ছোট ভাই হলেন- রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানাধীন কাদিরগঞ্জের মৃত দীন মোহাম্মাদের ছেলে মো. রবিউল আউয়াল (কচি) এবং তার ভাই মো. নাজমুল ইসলাম (খোকন)।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমার কেনা বর্তমান জমির মধ্যে একটি পুরাতন বসত বাড়ি আছে। তা বসবাসের অযোগ্য হওয়ায় আমি সেখানে বাড়ি নির্মাণ করার জন্য বাড়ির নকশা RDA থেকে অনুমোদন পাই।

কিন্তু সেখানে বাড়ি নির্মাণ করতে গেলে আমার মেজো ভাই নির্মাণ শ্রমিকদের মারধোর করে তাড়িয়ে দেয় আর প্রাণ নাশের হুমকি দেখাই।

উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে আমি স্থানীয় বোয়ালিয়া থানায় একটি জিডি বা অভিযোগ দায়ের করি। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে বোয়ালিয়া থানা আমাকে কোন প্রকার সহযোগিতা করেননি বরং অন্যায় ভাবে ভাইয়ের পক্ষ নিয়ে আমার কাজ বন্ধ করে দেয়ার হুমকী দেখাই।

এছাড়াও তারা আমার ও আমার ছেলের নামে অন্যায় ভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানি করছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আমার উপর ও আমার পরিবারের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে এবং আমার নিজস্ব সম্পদ থাকার সত্বেও আমি আমার পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় অবস্থান করছি ।

এ বিষয়ে ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে জায়গার নির্ধারণ ও বিচার সালিশ হলেও উক্ত সালিশের সমাধান সে গ্রহণ করেনি।

এবং ২৩ জুলাই ২০১৯ সালে আমার জাইগার দরুন সরকাররের নিকট হতে সমস্ত কাগজ পত্র এবং দলীল দেখে আমাকে ক্ষতি পূরণের অর্থ প্রদান করেন।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে নাজমুল ইসলাম ওরফে খোকন জানান, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ বানোয়াট। বরং তার ভাই রবিউল আউয়াল ওরফে কচি তার মায়ের থেকে প্রতারণা করে নিজের নামে জমি লিখে নিয়েছেন। যে বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান। আর তার উপরই সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে। এবিষয়ে বোয়ালিয়া থানায় মামলা তদন্তাধীন আছে।

এবিষয়ে ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মমিন জানান, তাদের পৈত্রিক জমি নিয়ে বেশকিছু সমস্যা আছে। তবে এই জমি নিয়ে সার্ভে করে তাদের মিমাংসা করে দেয়া হচ্ছিলো।

সেসময় তারা দুইপক্ষই মেনে নিয়েছিলো। তবে এখন নাকি সেই জমিতে নির্মাণ কাজ করতে বাঁধা দেয়া হচ্ছে বলে জানতে পেরেছেন।

এবিষয়ে বোয়ালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মণ জানান, ওখানে তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে সমস্যা আছে। এরইপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন সময় দুই পক্ষ দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

কিছু বিষয় আদালতের নির্দেশে তদন্তাধীন আছে। কিছু বিষয়ে চার্জশিট হয়েছে। জামিনেও আছে কয়েকজন।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন খারাপ না হয় সে লক্ষে তাদের নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। আদালতের নির্দেশেই তারা কাজ করছেন।

এসময় রবিউল ইসলামের পরিবারের অন্য সদস্য সাবিরা সুলতানা পলি, বাকিউল আউয়াল ও সুমাইয়া হক উপস্থিত ছিলেন।

 

আরপি/ এমএএইচ-১৪



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top