রাজশাহী শনিবার, ২৭শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১

গৃহবধূর কাছে তালাকনামায় জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ


প্রকাশিত:
১০ নভেম্বর ২০১৯ ০৫:১৬

আপডেট:
২৭ এপ্রিল ২০২৪ ০০:০৯

প্রতীকি ছবি

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় তালাকনামায় জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।উপজেলার বাসুপাড়া ইউনিয়নের বীরকয়া গ্রামের ইয়াদ আলীর ছেলে শাহজামালের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় তিন বছর পূর্বে শাহজামালের সাথে একই উপজেলার নরদাশ ইউনিয়নের নরদাশ গ্রামের আফাজ উদ্দীনের মেয়ে সালমার বিয়ে হয়। তাদের একটি শিশু পুত্র সন্তান রয়েছে।

মেয়ের বাবা আফাজ উদ্দীনের দাবি, তার মেয়ে কাজকর্ম না করলে সালমার শশুর বাড়ির লোকজন তাকে মাঝেমধ্যে মারধর করতো। মেয়েকে মারধরের সংবাদে সালমার বাবা ও চাচা বীরকয়া গ্রামে যায়। এসময় জামাই শাহজামাল, তার বাবা ইয়াদ আলী ও স্বজনরা মিলে তাদের আটকিয়ে দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে সাদা কাগজ ও তালাকনামায় জোর পূর্বক স্বাক্ষর আদায় করে নেয়।

তারা বলেন, দেনমোহর ধার্য্য ছিল ৯০ হাজার টাকা।

তবে শাহজামালের বোন ও মা জমেলা বিবি জানান, বিয়ের সময় ৫৫ হাজার টাকা নেয়া হয়েছিল ঐ টাকা দিয়ে আপোষে তালাক দেয়া হয়েছে। কেন তালাক হলো জানতে চাইলে তাঁরা জানান, আমার ছেলে শাহজামালকে বউমার পছন্দ না তাই।

 

বীরকয়া গ্রামের যে নিকাহ রেজিস্ট্রার রফাতুল্যা (কাজী) তালাকনামা সম্পন্ন করেন, তিনি কাচারী কোয়ালপিাড়া ইউনিয়নের কাজী এবং বীরকয়া বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলে দাবী করেন। আপনার বাড়ি বীরকয়া বাসুপাড়া ইউনিয়নে, আর আপনি কাচারী কোয়ালীপাড়া ইউনিয়নের কাজী হলেন কী ভাবে? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমার কোয়ালীপাড়া ও রাজশাহীতেও বাড়ি আছে। কাজী রফাতুল্যা ৫৫ হাজার টাকায় তালাকনামা হয়েছে বলে স্বীকার করেন।

 

বাগমারা উপজেলা নিকাহ রেজিস্ট্রার সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম জানান, রফাতুল্যা কাজীর লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে, তিনি আমাদের সদস্য নন। 

 

আরপি/আআ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top