রাজশাহী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৬ই চৈত্র ১৪৩০

রাজশাহীতে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ


প্রকাশিত:
৮ আগস্ট ২০২১ ২০:৪৩

আপডেট:
৮ আগস্ট ২০২১ ২০:৫০

রাজশাহী নগরীতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা ও থানা পুলিশের নোটিশ উপেক্ষা করে জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে। রবিবার (৮ আগস্ট) দুপুরে সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ করেছেন আবুল কালাম আজাদ নামে এক ব্যবসায়ী।

তিনি নগরীর সপুরা এলাকার মৃত হাসেন আলীর ছেলে। আর অভিযুক্তরা হলেন- ওই এলাকার আব্দুস সাত্তারের ছেলে আব্দুর রহমান, তার স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম, গাজলুর রহমানের ছেলে দুরুল হুদা এবং মৃত জান মোহাম্মদের ছেলে তাবরেজ আলী।

ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘পাওয়ার অফ অ্যাটর্নির বলে আমার দখলে থাকা প্রায় ২ কাঠা জমিতে রাস্তা নির্মাণের জন্য জোরপূর্বক দখলে নিতে চেষ্টা চালানো হয়। জায়গাটি দখলে নিতে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন আব্দুর রহমান ও তার লোকজন। ফলে গত বছরের ৪ জুলাই বোয়ালিয়া মডেল থানায় জিডি করি এবং পরে ২৩ নভেম্বর রাজশাহী মেট্রেপলিটন পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়। তবে ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর তারা ২০/২৫ জন লোক নিয়ে আমার তত্বাবধানে থাকা অটোরিকশা গ্যারেজে প্রবেশ করে এবং ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এতে ক্ষতি হয় প্রায় ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা। এ সময় আমাকে প্রাণ নাশেরও হুমকি দেয়া হয়।’

ওই ব্যবসায়ী জানান, এ ঘটনায় গত বছরের ১০ ডিসেম্বর আদালতে মামলা দায়ের করেন তিনি। আর জমির বিষয়ে এ বছরের ২ মে আদালতে আলাদা আরেকটি মামলা করা হয়। মামলাগুলো বিচারাধীন। পরে আদালত সেখানে কাজ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিলে সেই নির্দেশনা মোতাবেক থানা পুলিশ আসামীদের নোটিশ প্রদান করে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে। কিন্ত প্রভাবশালীরা নির্দেশনা অমান্য করে জোর পূর্বক রাস্তার কাজ করেই যাচ্ছে। গত শুক্রবার (৬ আগস্ট) থেকে আবারো কাজ শুরু করেছে তারা। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদ।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুর রহমান বলেন, ‘গ্যারেজে লুটপাট-ভাঙচুরের অভিযোগ সঠিক নয়। আর জমিটি সিটি কর্পোরেশনের। সেখানে আমরা রাস্তা নির্মাণ করছি না। সিটি কর্পোরেশন থেকেই কাজ করানো হচ্ছে।’

এ ব্যাপারে নোটিশপ্রদানকারী পুলিশ কর্মকর্তা বোয়ালিয়া মডেল থানার এএসআই আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আদালতের নির্দেশনার আলোকে অভিযুক্তদের একটি নোটিশ দিয়ে আসা হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে মামলা আদালতে বিচারাধীন।

 

আরপি/আআ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top