গোদাগাড়ীতে উন্নয়ন প্রকল্পের কাজে অনিয়মের অভিযোগ

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার একটি উন্নয়ন মূলক প্রকল্পের কাজে সিডিউল বহির্ভূতভাবে নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসী এমনটার প্রতিবাদ জানিয়ে গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়নের হরিশংকরপুর গ্রামের ৫ নং ওয়ার্ডে মাটিকাটা ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক ১ লক্ষ ৭৭ হাজার ৩০০ টাকার গ্রাম উন্নয়ন মূলক কাজ খাজা মাস্টারের পুকুরের প্যালাসাইটিং অল নির্মানের কাজ চলছে। গত তিন-চারদিন আগে কাজ শুরু হলে উন্নয়ন কাজের প্রকল্প সভাপতি ও ৪,৫,৬ ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য মর্জিনা খাতুন সম্পন্ন নিন্মমানের ইটসহ অন্যান্য সামগ্রী নিন্মমানের দিয়ে প্যালাসাইটিং অল নির্মাণ করছে।
এসব কাজের প্রতিবাদ করে এলাকাবাসী সিডিউল মোতাবেক কাজ করার অনুরোধ জানালে তিনি বলেন, আমি এভাবেই কাজ করবো আপনাদের যা কিছু করার করতে পারেন আমি তা তোয়াক্কা করি না। এই বিষয়টি নিয়ে মাটিকাটা ইউপি চেয়ারম্যান আলী আজম তৌহিদের কাছে সরনাপন্ন হলে তিনিও একই কথা বলেন বলে অভিযোগ জানান।
এলাকাবাসী আরো জানান, যে ভাবে কাজ করা হচ্ছে দেখে মনে হচ্ছে ১ লাখ ৭৭ হাজার ৩০০ টাকার কাজ হলেও ওই মহিলা ইউপি সদস্য ৭০-৮০ হাজার টাকার কাজ করে নিজেই আত্নসাৎ করে নেওয়ার পায়তারা করছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানান যাতে সরকারী কাজের টাকা আত্নসাৎ না করতে পারে।
মহিলা ইউপি সদস্য মর্জিনা খাতুনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নিন্মমানের ইট দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে না ভাটা হতে ১ নং ইট দিয়েই কাজ করা হচ্ছে। কিছু দিন আগে ভাটার ইটে পানি পাওয়ার কারণে ইটের রং ফ্যাকাসে দেখাচ্ছে। তাছাড়া প্রকল্পের কাজটি দ্রুত শেষ দেখাতে হবে বলে জানান। তিনি আরো জানান, অভিযোগ কারিরা আমার নিকট চাঁদা দাবি করেছিলো তা না দেবার করণে এসব কাজ করছে।
মাটিকাটা ইউপি চেয়ারম্যান আলী আজম তৌদিনের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিমুল আকতার বলেন, নিন্মমানের কাজের অভিযোগের বিষয়টি আমি তদন্তে সাপেক্ষে দেখবো বলে জানান।
আরপি/আআ
বিষয়: অনিয়ম অভিযোগ উন্নয়ন প্রকল্প
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: