রাজশাহী সোমবার, ২০শে মে ২০২৪, ৭ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

নির্মাণ সামগ্রীর দখলে বিদ্যালয়ের মাঠ


প্রকাশিত:
২০ জুন ২০২১ ০৪:২৬

আপডেট:
২০ জুন ২০২১ ০৪:২৭

প্রতিনিধি

শিক্ষার্থীদের করোনা সংক্রমণ এড়াতে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। দফায় দফায় ছুটির মেয়াদ বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩০ জুন পর্যন্ত। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত আসতে পারে, না হয় আবারও সময় বাড়তে পারে। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

কিন্তু তাতে গুরুত্ব দিচ্ছেন না চারঘাটের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। চারঘাটের তালবাড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠজুড়ে রাখা হয়েছে ইট,পাথর, বালি ও বিটুমিন মিশ্রণের মেশিন। দূর থেকে মনে হবে না এখানে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। শিক্ষার্থীদের চারণভূমি ওই মাঠজুড়ে পাথরের স্তূপ। যেন গড়ে তোলা হয়েছে পাথরের খনি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের তালবাড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে রাস্তা সংস্কারের ইট, পাথর ও বালিসহ বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী রাখা হয়েছে। এতে বিদ্যালয়ের পুরো মাঠটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষক-কর্মচারী কাউকে পাওয়া যায়নি।

এলাকাবাসী জানান, শুনেছি মাঠ ঠিকাদারকে ভাড়া দেয়া হয়েছে। প্রতিদিনই পাথর, বালি বোঝাই গাড়ি বিদ্যালয়ে আসছে। সেখানে বসানো মেশিনে বিটুমিন মিশ্রণ হয়ে রাস্তার কাজে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বিদ্যালয় খুললে পাথর সরিয়ে নিলেও মাঠে দেবে যাওয়া ও বিচ্ছিন্নভাবে পড়ে থাকা পাথর দিয়ে শিক্ষার্থীরা আহত হতে পারে। তারা দ্রুত পাথর সরিয়ে নেয়ার দাবি জানান।

তালবাড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিরিনা খাতুন বলেন, ঠিকাদার আমাকে না জানিয়ে বিদ্যালয় মাঠে নির্মাণ সামগ্রী রেখেছেন। আমি জানতে পেরে নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে যেতে বলেছি। তবুও তারা কথা শোনেননি। সরকারী রাস্তার কাজ চলছে, কাজ শেষ হলে মাঠ ঠিক করে দেবে তারা এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কোনো আর্থিক সুবিধা নেওয়া হয়নি।

এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী সরওয়ারুল ইসলাম লালন বলেন, বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় ও জায়গা না পাওয়ার কারণে সরকারী রাস্তা সংস্কার কাজের নির্মাণ সামগ্রী ওই বিদ্যালয় মাঠে রাখা হয়েছে। কাজ শেষ পর্যায়ে, সবকিছু সরিয়ে নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মুন্জুরুল ইসলাম বলেন, ঐ বিদ্যালয়ের মাঠে নির্মাণ সামগ্রী রাখার ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা। আমি কিছু বলতেও পারবোনা। এ ব্যাপারে আমাদের অফিস প্রধানের মতামত নিতে পারেন।

 

 

আরপি / আইএইচ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top