রাজশাহী মঙ্গলবার, ২৩শে এপ্রিল ২০২৪, ১১ই বৈশাখ ১৪৩১

জীবনের শেষ প্রান্তে লক্ষ্মী রানী, কথা বলতে চান প্রধানমন্ত্রীর সাথে


প্রকাশিত:
১৬ জুন ২০২১ ১৮:২৬

আপডেট:
২৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:০১

ছবি: লক্ষ্মী রানী

রাজশাহীর সেই আলোচিত লক্ষ্মী রানীর বয়স ১০৩ থেকে হলো ১০৪ বছর তবুও হলো না প্রধানমন্ত্রীর সাথে তার কথা।
শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ করার কারণেই বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ভয়াবহ রাজনৈতিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন দশরথ চন্দ্র কবিরাজের পরিবার। কারণ হিসেবে বলেছেন যে তারা আওয়ামী লীগ করতেন তাই তাদের উপর এত ভয়াবহ নির্যাতন হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার ৫নং ঝালুকা ইউনিয়নের আমগাছি গ্রামের দশরথ চন্দ্র কবিরাজ। তাকে সবাই দশরথ মাস্টার নামেই চেনেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন এলাকায় সংগঠকের কাজ করেছেন তিনি। তার এক ছেলেও মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। দশরথ মাস্টার বেঁচে নেই এখন। কিন্তু বেঁচে আছেন তার ১০৪ বছর বয়সী স্ত্রী লক্ষ্মী রানী কবিরাজ।

জীবন সায়াহ্নে এসে তিনি একবারের জন্য হলেও ভিডিওকলে কথা বলতে চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে।

রাজশাহীর বেশ কিছু সিনিয়র আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানান, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের আজন্ম সৈনিক দশরথ মাস্টার ছিলেন জাতীয় চার নেতার অন্যতম নেতা শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের একনিষ্ঠ সহচর ছিলেন দশরথ মাস্টার।শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় নৃশংস নির্যাতনের শিকার হয়ে ২০০৬ সালের ১৩ আগস্ট অনেকটাই বিনা চিকিৎসায় এবং অবহেলিত ভাবে মারা যান দশরথ মাস্টার। শুধুমাত্র আওয়ামীলী রাজনৈতি করার কারণে ২০০১ এংব ২০২১সালে দুই,দুই দফায় তার বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছেন বিএনপি জামায়াতের সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী। লুট করা হয় বাড়ির সোনা দানা পুকুরের লাক্ষ লাক্ষ টাকার মাছ। কেটে সাবাড় করা হয় বাগানের শত,শত গাছ। দশরথ মাস্টারের পরিবারের ওপর চালিত ভয়াবহ নির্যাতনের খবর ওই সময়ে পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ হয়। দেশ-বিদেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০০২ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকারের বিরোধী দলের নেত্রী ছিলেন। বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সময়ে নির্যাতিত অন্য পরিবারগুলোর সঙ্গে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পান। প্রধানমন্ত্রী কিছু আর্থিক সহায়তাও করে ছিলেন এবং তিনি বলেছিলেন যদি কখনো আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসে তাহলে আপনার পরিবার থেকে যে কেউ আমার সাথে যোগাযোগ করবেন।

জীবনের শেষ প্রান্তে এসে শুধু একটিবার প্রধানমন্ত্রীর সাথে ভিডিওকলে কথা বলতে চান ১০৪ বছর বয়সী বৃদ্ধা লক্ষ্মী রানী। প্রধানমন্ত্রী ভিডিওকলে আমার সাথে যদি অনুগ্রহ করে একটাবার আমার সাথে কথা বলতো তাহলেও আমি মরলেও শান্তি পেতাম। হয়ত আমি যে কোন মুহূর্তে মরে যেতে পারি, আমি মরে গেলে আমার জীবনের ইচ্ছা অপুণ্য থেকেই যাবে বলে জানান ১০৪ বছর বয়সী বৃদ্ধা লক্ষ্মী রানী।

আরপি/ এস



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top