রাজশাহী মঙ্গলবার, ১৬ই এপ্রিল ২০২৪, ৪ঠা বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহী শহরের রাস্তাগুলো ফাঁকা


প্রকাশিত:
১৩ জুন ২০২১ ০১:৩৭

আপডেট:
১৬ এপ্রিল ২০২৪ ২৩:৩৫

ছবি: শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান চত্বর

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে রাজশাহীতে দ্বিতীয় দিনেরমত চলেছে সাতদিনের ‘সর্বাত্মক লকডাউন’। ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ছাড়া শপিংমলসহ সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। বুধবার (১৪ এপ্রিল) সকাল থেকে বিভাগীয় এই শহরের রাস্তাগুলো একেবারেই ফাঁকা রয়েছে। রাস্তায় দু-একটি রিকশা, মোটরসাইকেল এবং জরুরি সেবার গাড়ি চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে। বন্ধ রয়েছে শহরের সব মার্কেট। শহরে এখন সুনসান নীরবতা।

এদিন মহানগরীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান চত্বর, শিরোইল বাস টার্মিনাল, রেলওয়ে স্টেশন, নিউমার্কেট, সাহেববাজার জিরোপয়েন্টসহ বিভিন্ন রাস্তাঘাট একেবারেই ফাঁকা ছিল। ওষুধ ছাড়া সব ধরনের দোকানপাটও বন্ধ দেখা গেছে।

নগরীর প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে পুলিশ সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। কেউ রাস্তায় বের হলে পড়তে হচ্ছে পুলিশের জেরার মুখে। জরুরি কাজ থাকলে পুলিশ সদস্যরা তাকে দ্রুত কাজ শেষ করে ঘরে ফেরার নির্দেশনা দিচ্ছেন। এছাড়া শহরের তিন দিকের প্রবেশমুখ আমচত্বর, কাশিয়াডাঙ্গা ও কাটাখালী এলাকায় পুলিশ সদস্যরা কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও রাজশাহীতে সকাল থেকেই মাঠে রয়েছে পুলিশ ও প্রশাসনের সদস্যরা। মোড়ে মোড়ে পুলিশের টিম টহল দিচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে চেকপোস্ট বসিয়ে বাইরে আসা মানুষদের তল্লাশি চালাচ্ছে তারা। এছাড়া রাস্তায় রাস্তায় চলাচলরত যানবাহনগুলো থামিয়ে তল্লাশি করা হচ্ছে।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, “রাজশাহী মহানগরের সবকয়টি প্রবেশমুখে পুলিশ শক্তভাবে অবস্থান নিয়েছে। এ ছাড়া শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পুলিশ টহল রয়েছে। বিনা কারণে কাউকেই শহরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে জরুরি সেবা পরিবহন ও ওষুধের দোকানপাট খোলা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, পুলিশ চেষ্টা করছে শহরে মানুষকে না ঢুকতে। কিন্তু তবুও মানুষ নানা গলিপথ দিয়ে ঢুকে যাচেছ। তারা লকডাউন বাস্তবায়নে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

আরপি/ এসআই



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top