রাজশাহী বুধবার, ২৪শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীর আম যাচ্ছে ইউরোপের চার দেশে


প্রকাশিত:
২২ মে ২০২১ ০৬:১৬

আপডেট:
২৪ এপ্রিল ২০২৪ ২৩:৩২

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী আমের জন্য বিশ্ববিখ্যাত। প্রতি বছরই রাজশাহীর আম সরকারি-বেসকারি উদ্যোগে ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রফতানি হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। এ বছরও রাজশাহীর আম ইউরোপের চার দেশে যাচ্ছে ।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সহকারী উপ-পরিচালক তৌফিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এবার জার্মানি, ফ্রান্স, ইটালি ও সুইজারল্যান্ডে যাবে রাজশাহীর আম। রাজশাহীর খিরশাপাত, ল্যাংড়া, আম্রপালি ও তোতাপুড়ি আম যাবে ইউরোপে। তবে সরকারিভাবে নয়, বাংলাদেশ ফ্রুটস ভেজিটেবলস অ্যান্ড অ্যালাইড প্রোডাক্টস এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন আম রফতানি করবে।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ বলছে, ২০১৯ সালে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রাজশাহীর প্রায় ৩৫.৭৫ মেট্রিক টন আম রফতানি হয়েছিল। এরমধ্যে গোপালভোগ, ল্যাংড়া, খিরশাপাত, আম্রপালি, হিমসাগর ছিল।

করোনার কারণে ২০২০ সালে রাজশাহী থেকে কোনো আম সরকারিভাবে রফতানি হয়নি। তবে বাঘা থেকে ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশ ফ্রুটস ভেজিটেবলস অ্যান্ড অ্যালাইড প্রোডাক্টস এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন বেসরকারি ৯ মেট্রিক টন এবং অন্যান্য উপজেলা থেকে ১২ মেট্রিক টন আম রফতানি করে।

বাংলাদেশ ফ্রুটস ভেজিটেবলস অ্যান্ড অ্যালাইড প্রোডাক্টস এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে ২০১৪ সাল থেকে বিদেশে আম রফতানি করছেন বাঘা উপজেলার আম ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম ছানা।

তিনি বলেন, ‘বর্হিবিশ্বে রাজশাহীর আমের প্রচুর চাহিদা ও সুনাম রয়েছে। কিন্তু করোনার কারণে রাজশাহীর আম চাষি ও ব্যবসায়ীরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষ করে বাইরে আম রফতানি করতে না পারায়। তবে এবার ৩৩৩ মেট্রিক টন আম রফতানির টার্গেট নেয়া রয়েছে। রফতানি ক্ষেত্রে ভালো সুবিধা পেলে আরও বেশি রফতানি করা হবে।’

ইউরোপে আম রফতানির বিষয়ে রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ শরিফুল হক বলেন, শুনেছি বাঘাসহ আশ-পাশের উপজেলা থেকে এবার ইউরোপের চার দেশে বেসরকারি আম রফতানি হবে। আম চাষি ও ব্যবসায়ীদের সার্বিক সহায়তা প্রদান করা হবে। এছাড়াও দেশের সম্মান বিদেশে যেন খর্ব না হয় সেটি মাথায় রেখে উপজেলা পর্যায়ে মনিটরিং টিম কাজ করছে।’

আম রফতানি সম্পর্কে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তা তৌফিকুর রহমান জানান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মাধ্যমে স্থানীয় আম চাষি ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে বিদেশে রফতানিযোগ্য আম কিভাবে উৎপাদন, সংগ্রহ ও সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনা করা যায় সে বিষয়ে তাদের প্রয়োজনীয় ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে। এতে গুণগত ও মানসম্পন্ন আম রফতানি করতে পারবেন চাষিরা।

আরপি / এমবি-৫



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top