রাজশাহী সোমবার, ৯ই ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬শে অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ধান কাটতে এলাকা ছাড়ছে বাঘার ১৫ হাজার শ্রমিক


প্রকাশিত:
১৮ এপ্রিল ২০২১ ০৭:৩২

আপডেট:
৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১২:৪৮

ফাইল ছবি

রাজশাহীর বাঘা উপজেলা বাইরে এবার ধান কাটতে এলাকা ছাড়ছে প্রায় ১৫ হাজার কৃষি শ্রমিক চলতি মৌসুমে। করোনা ভাইরাসজনিত কারণে সরকারের দিক নির্দেশনা মেনেই ধান কাটতে বাইরে যাবেন তারা। এজন্য উপজেলা নির্বাহি অফিসার ও উপজেলা কৃষি অফিসারের কাছে প্রত্যয়নপত্র (অনুমতি) নেয়ার জন্য গ্রুপ ভিত্তিক আবেদন করছেন।

গত বছর ১৫/২০জনের একেকটি দল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা কৃষি অফিসারের যৌথ স্বাক্ষরিত প্রত্যয়নপত্র (অনুমতি) নিয়ে নিজ উপজেলার বাইরে ধান কাটতে গিয়েছিল।

কৃষি অফিসের তথ্য মতে, এ বছর প্রায় ৩ হাজার শ্রমিক ইতিমধ্যে আবেদন করেছেন। গেছেন প্রায় ১ হাজারের মতো। এসব শ্রমিকরা ধান কাটতে যাবেন, নাটোর, নওগাঁ, জয়পুরহাট, পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও বগুড়া মানিকগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলায়।

উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, কৃষি প্রধান বাংলাদেশ। খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ। কিন্ত দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিভিন্ন জেলায় কৃষি শ্রমিকের সংকট দেখা দিয়েছে। এর প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রীর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বলেছেন। এর ধারাবাহিকতায় তার উপজেলার কৃষি শ্রমিককে জেলার বাইরে কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সরকার প্রদত্ত সকল নির্দেশনা পালন সাপেক্ষে অন্য জেলার, উপজেলায় বোরো ধান কর্তনে যাওয়ার জন্য উপজেলার নির্বাহি অফিসার ও আমার যৌথ স্বাক্ষরে প্রত্যয়ন পত্র (অনুমতি) দেওয়া হচ্ছে। তবে এর মধ্যে কেহ যদি করোনা আক্রান্ত এলাকা থেকে নিজ এলাকায় ফিরে আসে,তাদের নমুনা পরীক্ষা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নির্বাহী অফিসার পাপিয়া সুলতানা বলেন, যেহেতু শ্রমিকরা এক দলে কাজ করবে। সেজন্য নিজেদের সাবধনতা অবলম্বন করে দুরত্ব বজায় রেখে কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বেশি বেশি পানি পান ও ঘনঘন সাবান দিয়ে হাত ধৌত করার জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন।

দিঘা গ্রামের শ্রমিক দলনেতা পলান উদ্দিন জানান, এসময় এলাকায় তেমন কোন কাজ থাকেনা। কাজ না থাকায় ধারদেনা করে সংসার চালাতে গিয়ে অনেকেই ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়ে। ধান কাটার এ মৌসুমে খাদ্য সংগ্রহের জন্য বাইরে যান। একেকজন ১৫ থেকে ২০-২৫ মণ ধান নিয়ে বাড়ি আসেন। যা দিয়ে পরিবারের খাদ্যের অভাব দুর হয় এবং দেনা পাওনাও শোধ করতে পারেন। গতবছর যানবাহন চলাচলে বিধি নিষেধ থাকায় চুক্তিভিত্তিক গাড়ি ভাড়া করে কিংবা বিকল্প পথে গিয়েছিলেন। অনেকে বাইসাইকেল,ভ্যানও সাথে নিয়েছিলেন। এবারেও সেই পথে চলতে হবে।

আরপি/ এসআই



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top