রাজশাহীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৭
 
                                রজশাহীর বাঘায় পূর্বের ঘটনার জের ধরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে পুলিশসহ ৭ জন আহত হয়েছে। সোমবার(২৯ মার্চ) দুপুরে উপজেলার চন্ডিপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন-বড় ছয়ঘটি গ্রামের মিলন হোসেন, শরিফুল ইসরাম, বাবুল হোসেন, সাব্বির হোসেন, মিলিয়ারা খাতুন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পূর্বের ঘটনার জের ধরে সোমবার (২৯ মার্চ) দুপুরে আবদুল গনি কলেজের পদর্শক ও চন্ডিপুর গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে আরিফুল ইসলাম কলেজ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। তিনি জোতরাঘব কমিউনিটি ক্লিনিকের কাছে পৌছলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে রাব্বি, আসিক, নয়নসহ ৬/৭ জনের একটি দল অর্তকিতভাবে লোহার রড়, হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়। এই ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ মানুষ উত্তেজিত হয়ে পড়ে।
এসময় সুপার ছনি (ঢাকা মেট্রো ব ১৫-৫২৫১) নামের একটি যাত্রীবাহী বাস ও একটি সিএনজি ভাংচুর করা হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে কনেস্টেবল সাগর, বিদ্যুৎ, রিপা, ডিএসবি’র এসআই নুরুজ্জামান, স্থানীয় মোশারফ হোসেন, আরিফুল ইসরাম, সুপার ছনি বাসের ডাইভার কামরুল ইসলাম আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তবে এই ঘটনায় ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার রাতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে উপজেলার চন্ডিপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ডিজিটাল কনসার্ট অনুষ্ঠান হচ্ছিল। এ সময় মেয়েদের সংরক্ষিত গ্যালারিতে জোর করে প্রবেশের চেষ্টা করে মিলিকবাঘা গ্রামের রবি ভান্ডারীর ছেলে মোহাম্মাদ রাব্বি, রফিকুল ইসলামের ছেলে নয়ন আলী, চন্ডিপুর ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে সোহেল রানা। অন্তর আলী তাদের বাধা দেয়ায় বাকবিতন্ডা হয়। পরের দিন রোববার বাড়ির গরু বিক্রি টাকা নিয়ে অন্তর আলী মোটরসাইকেলে ব্যাংককে যাচ্ছিল। অন্তর আলী বাঘা মাজার গেইটের সামনে পৌঁছলে রাব্বি, নয়ন, সোহেল তার পথরোধ করে লোহার রড ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারপিট করে ৯৫ হাজার টাকা ও ২২ হাজার টাকা মূল্যের দু’টি মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়া হয়েছে।
এ বিষয় বাজুবাঘা ইউনিয়ন আওয়ামলীগের সভাপতি ফজলুর রহমান জানান, কিছু ছেলেরা নেশাগ্রস্থ অবস্থায় শনিবার মেয়েদের সংরক্ষিত গ্যালারিতে প্রবেশের চেষ্টা করে। এ সময় শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত অন্তর আলী তাদের বাঁধা দেয়। তারপরও জোর করে যেতে চায়। এ নিয়ে অন্তর আলী ও তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এই ঘটনার জের ধরে তারা অন্তর আলীকে মারপিট করে টাকা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এই ঘটনার জের ধরে আবারও তারা সোমবার দুপুরে এক কলেজ পরিদর্শককে মারপিট করে। এর জের ধরে এলাকার মানুষ উত্তেজিত হয়ে বাস ও সিএনজি ভাংচুর করে।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আব্দুল বারী জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যের কিছুটা চোট লেগে আহত হয়েছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।ে
আরপি/ এসআই-৪

 
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: