রাজশাহী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৬ই চৈত্র ১৪৩০

মুক্তিযোদ্ধা বাছাইয়ে নতুন কমিটি করে প্রকাশ্যে সাক্ষ্য নেয়ার দাবি


প্রকাশিত:
১০ মার্চ ২০২১ ২০:১০

আপডেট:
২৯ মার্চ ২০২৪ ১৫:০৯

ছবি: মানববন্ধন

রাজশাহীতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গেজেট নিয়মিত করার সুপারিশ না পাওয়া ব্যক্তিরা। তারা নতুন বাছাই কমিটি গঠনের পাশাপাশি প্রকাশ্যে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণেরও দাবি জানিয়েছেন তারা।

এসব দাবিতে বুধবার সকালে নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে তারা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। রাজশাহী জেলা ও মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ব্যানারে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল মুক্তিযোদ্ধা সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি আবদুল আজিজ মাস্টারের সভাপতিত্বে ও রাজশাহী মহানগর সেক্টর কমান্ডার ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান উজ্জ্বলের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আবদুল মান্নান, কবিকুঞ্জের সভাপতি রুহুল আমিন প্রামানিক, মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল হক কুমার, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র-২ রজব আলী, আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু, মুক্তযুদ্ধ পাঠাগারের সহ-সভাপতি মজিদা বিথী, সাংবাদিক মুস্তাফিজুর রহমান খান আলম, এফএ ফাউন্ডেশনের মহানগর সভাপতি আলতাফ হোসেন প্রমূখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) নির্দেশনায় ছিল প্রকাশ্যেই সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করতে হবে। সাক্ষ্য আইনেও এটা আছে। কিন্তু যাচাই-বাছাইকালে প্রকাশ্যে কারও সাক্ষ্য নেয়া হয়নি। যারা সুপারিশ পাননি তারা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের রাজনীতির বলি হয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে সবাই মুক্তিযোদ্ধা।

এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে তারা আরও বলেন, দেশের জন্য তারা প্রাণ হাতে নিয়ে যুদ্ধ করেছেন। কিন্তু নিজেদের স্বার্থের জন্য কমিটির সদস্যরা তাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবেই স্বীকৃতি দিচ্ছেন না। এটা তাদের জন্য ভীষণ লজ্জার। তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। এ বিষয়ে তারা প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

কর্মসূচি থেকে আগের যাচাই-বাছাই কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানানো হয়। প্রকাশ্যে সাক্ষ্য নেয়ার মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করারও দাবি জানান তারা।

উল্লেখ্য জামুকা’র সুপারিশ ছাড়াই বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেটভুক্ত হওয়া ১৬০ জনকে নতুন করে যাচাই-বাছাই করা হয় গত মাসে। চার সদস্যের কমিটি যাচাই-বাছাই করে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ভাতা পাওয়া ১২৬ জনের গেজেটে নিয়মিত রাখার সুপারিশ করে নি কমিটি। বাকি ৩৪ জনকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেটে নিয়মিত করার সুপারিশ করা হয়েছে।

এছাড়াও সুপারিশ না পাওয়া ১২৬ জনের মধ্যে ৮৪ জনের আবেদন সরাসরি নামঞ্জুর হয়েছে। ২৬ জন গেজেট নিয়মিত করার আবেদনই করেননি। তাই তাদের ব্যাপারেও সুপারিশ করা হয়নি। আর আট জনের ব্যাপারে দ্বিধা বিভক্ত সিদ্ধান্ত এসেছে বলে কমিটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে।

এ বিষয়ে মহানগর যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য সচিব অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ শরিফুল হক বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে রাজশাহী মহানগরীর ৫৫২ জন ভাতাভোগীর মধ্যে ১৬০ জনের ব্যাপারে জামুকার সুপারিশ ছিল না। সুপারিশ ছাড়া তারা গেজেটভুক্ত হয়েছিলেন। সে কারণে জামুকা তাদের ব্যাপারে যাচাই-বাছাই করতে বলে। নিয়মনীতি অনুসরণ করেই যাচাই করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রশ্ন তোলার কোন সুযোগ নেই।

 

আরপি/এসআর-০২

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top