রাজশাহীতে কমেছে খাদ্যশস্য মজুদ আমনের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়েও শঙ্কা
রাজশাহীর খাদ্যগুদামগুলোতে খাদ্যশস্য মজুদের পরিমাণ কমেছে। প্রতিবছর এ সময় যে পরিমাণ খাদ্যশস্য মজুদ ছিলো তার তুলনায় ১৩ হাজার ১৪০ দশমকি ৪৬৫ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য কম রয়ছে।
অন্যদিকে দূর্যোগের কবলে আমনের আবাদ নষ্টসহ কমছেে ফলন। এতে আমনের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে শঙ্কা্ তৈরি হয়েছে। সরকারি মজুদ কম থাকা ও আমন উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে শঙ্কাকে অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ হিসেবে নিতে পারে। তাই সর্তক থাকতে হবে বলে মনে করছনে সংশ্লিষ্টরা।
রাজশাহী খাদ্য নিয়ন্ত্রণ র্কাযালয়রে তথ্যমত, ২৭ অক্টোবরের হিসেবে খাদ্য গুদামে এখন র্পযন্ত মজুদ রয়ছেে ১০ হাজার ৭০৫ দশমকি ৪৫৫ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য। এরমধ্যে চাল ৭ হাজার ৯৯১ দশমকি ৪৪৬ মেট্রিক টন এবং ২ হাজার ৬৭৬ দশমকি ৮৩৬ মেট্রিক টন গম। ধান মজুদ আছে ৩৭ দশমকি ১৭৩ মেট্রিক টন।
গত বছর একই সময়ে গুদামে খাদ্যশস্য মজুদ ছিলো ২৩ হাজার ৮৪৫ দশমকি ৯১২ মেট্রিক টন । যখন ধানের মজুদ ছিলো ৫৪ দশমকি ০৬০ মেট্রিক টন। চালরে মজুদ ২১ হাজার ৩৩৪ দশমকি ৬৯৪ মেট্রিক টন ও গম ২ হাজার ৪৫৭ দশমকি ৫৬৪ মেট্রিক টন।
অন্যদিকে, রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, এবার রাজশাহীতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিলো ৭৬ হাজার ৫০০ হেক্টর। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়ছেে ২ লাখ ২৪ হাজার ৪৯ মেট্রিক টন। তবে এবার লক্ষ্যমাত্রার চয়েে ৭৭ হাজার ৫৭০ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ করা হয়ছে। কিন্তু আমনের আবাদে বন্যা ও জলাবদ্ধতায় রাজশাহীর চারটি উপজেলাতে প্রায় ৪০ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হেয়েছে।
এছাড়া প্রতিকুল আবহওয়ার প্রভাবেও উৎপাদন কমতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এতে আমানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
কৃষকরা বলছেন, এ বছর দাম ভালো থাকায় ধানের আবাদে কৃষকদরে আগ্রহ বড়েছে। কিন্তু এ বছর ধানের দাম ভালো থাকলেও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছেন। বন্যার প্রভাব ও জলাবদ্ধতার কারণে অনেক কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। অনেক কৃষক জলাবদ্ধতার কারণে ধান লাগাতেও পারেনি। ধান লাগানোর পরে পোঁকা ও ইঁদুররে আক্রমণসহ বিরুপ আবহওয়ায় এবার ফলন কম হবে এমন শঙ্কা প্রকাশ করছনে চাষীরাও।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ- পরিচালক শামছুল হক জানান, এবার তারা আমন আবাদে যে লক্ষ্যমাত্রা ধরেছিলেন; তারচেয়ে বেশি জমিতে আবাদ হয়েছে। তবে বছর ধানের আবাদ করে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। এর প্রভাব কিছুটাতো পড়বেই। আর যেহেতু অতিরিক্ত কিছু জমিতে বেশি আবাদ করা হয়েছে, সুতরাং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রায় খুব বেশি প্রভা্ব পড়বে না। লক্ষ্যমাত্রার কিছু কম হতে পারে।
এ বিষয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত র্কমর্কতা শাহিদার রহমান জানান, রাজশাহীতে গত বছরের তুলনায় এবার মজুদ কম আছে। মূলত করোনা পরিস্থিতির কারণেই এ বছর এ সময় মজুদটা কম। তবে মজুদ কম থাকার কারণে বাজারে তেমন প্রভাব পড়বে না।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের র্অথনীতি বিভাগের অধ্যাপক ইলিয়াস হোসেন জানান, রাজশাহীতে এবার সরকারি খাদ্যশস্য মজুদ কম। আবার আমনের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণে তৈরি হওয়া শঙ্কা তেমন কোন প্রভাব পড়বে না; যদি সরকাররে পলিসি চ্যানেলগুলো ঠিক থাকে। বন্যা বা জলাবদ্ধতার কারণে রাজশাহীতে যে ক্ষতি হয়ছেে এর প্রভাবে উৎপাদন হয়তো কমবে তবে তা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি কমবে না । আর র্বতমান সরকার এ বিষয়ে অনেকটায় তৎপর রয়েছে।
তিনি আরো জানান, এক্ষেত্রে অসাধূ ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টা করতে পারে এ বিষয়ে সরকারকে সচেতন থাকতে হবে।#
আর পি/ এম আই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: