রাজশাহী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৬ই চৈত্র ১৪৩০


রাজশাহীতে আলুর দাম কমাতে এক সপ্তাহের আল্টিমেটাম


প্রকাশিত:
২০ অক্টোবর ২০২০ ১৯:১৫

আপডেট:
২০ অক্টোবর ২০২০ ২০:২০

রাজশাহীতে সরকার নির্ধারিত দামে আলু বিক্রি না হওয়ায় নাভিশ্বাস উঠেছে ক্রেতাদের। তবে আলুর দাম কমাতে কোল্ড স্টোরেজগুলোকে এক সপ্তাহের আল্টিমেটাম দিয়েছে জেলা প্রশাসন। সোমবার (১৯ অক্টোবর) বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে কোল্ড স্টোরেজ ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক মতবিনমিয় সভায় এ আল্টিমেটাম দেয়া হয়।

সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শরিফুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল। এসময় জেলা পুলিশ, রাজশাহী ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কৃষি বিপনণ অধিদপ্তর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও টিসিবিসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং জেলার অন্তত ২৫টি কোল্ড স্টোরেজের ব্যবসায়ী ও কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল বলেন, রাজশাহীতে বীজসহ এখনো প্রায় ১ লক্ষ মেট্রিক টন আলু মজুদ রয়েছে। সুতরাং আলুর বৃদ্ধি পাওয়ার যৌক্তিক কোনো কারণ নেই। তাছাড়া প্রায় ১ মাসের মধ্যেই বাজারে নতুন আলু উঠতে শুরু করবে তখন দেখা যাবে অনেকে আলু ফেলে দিচ্ছেন। যেহেতু এখনো চাহিদার তুলনায় আলুর মজুদ বেশি রয়েছে তাই সরকারি দামেই আলু বিক্রি করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, আমরা এক সপ্তাহ বাজার পর্যবেক্ষণ করবো। আগামী শনিবার-রোববারের মধ্যে আলুর দাম না কমালে সোমবার থেকে স্টোরেজগুলোতে অভিযান চালানোর মধ্যে দিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ সময় কোল্ড স্টোরেজ ব্যবসায়ীরা আলুর দাম কমানোর জন্য চেষ্টা করবেন বলে জানান।

এ সময় কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা বলেন, অন্যান্য সময়ের চেয়ে এবার রাজশাহীতে আলুর উৎপাদন কম হয়েছে। চার বছর ধরে আলু ব্যবসায়ীরা কোন লাভ করতে পারেনি। অনেকে উৎপাদন খরচও তুলতে পারেনি। এবার আলুর দাম কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। আর এখন যে পরিমাণ আলু মজুদ রয়েছে তার অর্ধেক বীজের আলু।

তারা জানান, কোল্ড স্টোরেজ ব্যবসায়ীরা আলুর মালিক নয়। কৃষকরা স্টোরেজে আলু রাখে আবার তারাই বিক্রি করে। দাম কমালে কৃষকরা আলু বিক্রি করতে চাচ্ছেনা। তবে এখন থেকে আলু বিক্রি করতে ব্যবসায়ীদের তাগিদ দেয়া হবে। এসময় তারা প্রতিকেজি আলু খুচরা ৩০ টাকা না করে ৪০ টাকা করার দাবি জানান।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) কৃষি বিপণন অধিদপ্তর আলুর দাম নির্ধারণ করে দেয়। সরকারি ওই নির্দেশনায় বলা হয়, প্রতি কেজি আলু হিমাগার বা কোল্ড স্টোরেজ পর্যায়ে ২৩ টাকা, পাইকারি ২৫ টাকা এবং খুচরা ৩০ টাকা দরে বিক্রি করতে হবে। তবে সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করে অতিরিক্ত দামে আলু বিক্রি করায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ আল্টিমেটাম দেয়া হলো।

 

আরপি/আআ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top