রাজশাহী শনিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৪, ৮ই বৈশাখ ১৪৩১


বাঘায় চুরির ভয়ে পেঁয়াজ চাষীদের ঘুম হারাম


প্রকাশিত:
১১ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৮:২৩

আপডেট:
২০ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:০২

শীত উপেক্ষো করে রাতে পেঁয়াজ ক্ষেত পাহারা দিচ্ছেন এক চাষী

রাজশাহীর বাঘায় অতিরিক্ত দামের কারণে কদর বেড়েছে পেঁয়াজের। তাই দিনের বেলায় হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমের পর রাত জেগেও পেঁয়াজ ক্ষেত পাহারা দিচ্ছেন চাষীরা।


দিনের বেলায় পেঁয়াজ ক্ষেত পরিচর্যা শেষে সন্ধ্যার পর টর্চ লাইট নিয়ে পেঁয়াজ ক্ষেত পাহারা দেয়া হচ্ছে উপজেলার পদ্মার চরে।

পদ্মার চরে খোঁজ খবর নিতে গিয়ে দেখা মেলে খাঁয়েরহাট গ্রামের আবদুল জলিল উদ্দিনের সঙ্গে। কুয়াশা ঠেকাতে মাথার উপর ছাউনির নিচে ভাতিজা সোহেল রানাকে নিয়ে চাদর গায়ে দিয়ে টর্চ লাইট হাতে বসে আছেন তিনি।

এ বিষয়ে আবদুল জলিল বলেন, এ বছর আড়াই বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছি। চড়া দামের কারণে পেঁয়াজ চুরি ভয় বেশি। তাই পাহারা দিতে হচ্ছে। তবে বিগত বছর এভাবে পেঁয়াজের ক্ষেত পাহারা দিতে হয়নি।

পদ্মার চরের ৭ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করছেন সরেরহাট পালপাড়া গ্রামের দুলাল হোসেন। তিনি বলেন, কোনো পেঁয়াজ চাষীদের চোখে ঘুম নেই। রাতের পাশাপাশি দিনের বেলাতেও মাঠে কাউকে না কাউকে থাকতে হচ্ছে পাহারায়। ফলন কম হলেও চুরির ভয়ে আর বেশি দামের আশায় অনেকেই পেঁয়াজ তুলতে শুরু করেছেন।

আরেক চাষী মশিদপুর গ্রামের আসলাম আলী জানান, প্রতি বিঘা জমিতে ৩৫ থেকে ৪০ মন পেঁয়াজ উৎপাদন হচ্ছে। যা পূর্ণ মৌসুমের তুলনায় অনেক কম।

তিনি আরও বলেন, বাজারে চরের নতুন পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে। আগের তুলনায় দামও অনেক কমে গেছে। বর্তমানে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা দরে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শফিউল্লাহ সুলতান জানান, চলতি বছর উপজেলায় পেঁয়াজ চাষাবাদ হয়েছে ৮৮০ হেক্টর জমিতে। তবে আগের চেয়ে বর্তমানে অনেকটায় কম দামে বিক্রি হচ্ছে। আশা করছি আগামী সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণ হয়ে যাবে।

আরপি/ এএস



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top