রাজশাহী শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১


মেসির ৮০০তম ম্যাচে বার্সাকে হারালো আতলেতিকো


প্রকাশিত:
২২ নভেম্বর ২০২০ ১৬:২২

আপডেট:
২৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:৩২

ছবি: সংগৃহীত

পেছনে চলে গেছে ১০ বছরেরও বেশি সময় আর ২০ ম্যাচ। আতলেতিকো মাদ্রিদ লা লিগায় হারাতে পারেনি বার্সেলোনাকে। অবশেষে পারলো মেসির ৮০০তম ম্যাচে এসে। তবে শনিবার আতলেতিকোর কাছে হারের পর বার্সেলোনায় এখন হতাশা কিংবা শোকের সঙ্গে উচ্চারিত হচ্ছে দুটি নাম। মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগেন ও জেরার্ড পিকে।

বার্সেলোনা বার্সেলোনার মতো খেলতে পারে না। সে তো কয়েক বছর ধরেই তা পারে না। তারপরও গোলপোস্টের নিচে কাতালানদের কাছে প্রায় ‘দেবতা’ হয়ে ওঠা টের স্টেগেন প্রথমার্ধের যোগ করা তিন মিনিট সময়ের তৃতীয় মিনিটে অমন ভুল না করলে ইয়ানিক কারাসকো জয়সূচক একমাত্র গোলটি করতে পারেন না। আর তারপর ঘটলো আরেকটি ভয়াবহ ঘটনা। ৬১ মিনিটে আতলেতিকো মিডফিল্ডার অ্যাঞ্জেল কোরেয়া বার্সা রক্ষণভাগে বল দখলের লড়াইয়ে গিয়ে পিকের হাঁটুর ওপর পড়লেন। মেডিকেল টিমের সাহায্য নিয়ে বার্সার রক্ষণস্তম্ভ মাঠ ছেড়ে গেলেন। হয়তো দীর্ঘ সময়ের জন্যই।

সুইপার গোলকিপারের ধারণাটা ম্যানুয়েল নয়্যার বায়ার্ন মিউনিখে সার্থকভাবে প্রয়োগ করে জার্মান দলেও টেনে এনেছেন। নয়্যার অসাধারণ গোলকিপার, প্রায় সময়ই দুর্দান্ত। আবার মাঝে মাঝে সুইপ করতে গিয়ে এমন ভুল করেন, যার মাশুল গুনতে হয় পরাজয়ে। গত সপ্তাহে যেমন ইউরোপীয় নেশনস লিগে স্পেনের কাছে জার্মানি হারলো ৬-০ গোলে, প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে তাদের সবচেয়ে বড় পরাজয়। ওপরে উঠে এসে গোল খেয়েছেন নয়্যার। শনিবার রাতে নয়্যারের ভাবশিষ্য টের স্টেগেনও প্রায় ৪০ গজ ওপরে উঠে চার্জ করতে গেলেন কারাসকোকে। এমন আচরণের কোনও ব্যাখ্যা হয় না। তাকে ‘নাটমেগ’ করে ফাঁকা পোস্টে ফিনিশ করলেন কারাসকো। ম্যাচে গোল ওই একটাই। কিন্তু আরও হতে পারতো। প্রথম ১০ মিনিটেই আতলেতিকোর মাঠ ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানো রোমাঞ্চকর এক ম্যাচের আশা জাগিয়েছিল।

আন্তোয়ান গ্রিজমান তার সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে গোল প্রায় করেই ফেলেছিলেন। সাউল নাগেজের শট অবিশ্বাস্যভাবে রুখে দেন টের স্টেগেন। মার্কোস ইয়োরেন্তের শট লাগে ক্রসবারে।

খেলা যতই এগোতে থাকে আতলেতিকো তাদের রক্ষণ আরও জমাট করে। বার্সেলোনা মাঝমাঠের দখল নিতে পারলেও ওদের রক্ষণ আর ভাঙতে পারছিল না। রেফারি যখন বিরতির বাাঁশ বাজাতে যাবেন, তখনই টের স্টেগেনের ওই পাগলামি। পাল্টা আক্রমণে ফাঁকা জায়গায় কারাসকোর পায়ে বল দেখে তিনি উঠে আসেন প্রায় হাফলাইনের কাছে, আর তাকে পরাস্ত করে অনেক দূর থেকে নিঁখুত নিশানায় বল পাঠিয়ে দেন বেলজিয়ান উইঙ্গার।

দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যে জর্ডি আলবার বাড়ানো অসাধারণ এক বল পেয়ে গোল করতে পারেননি মেসি। মেসিরই ক্রসে দু’বার হেডে গোল করার সুযোগ পান ক্লেমেন্ত লেংলে। কিন্তু লিগে এবার মাত্র দুটি গোল খাওয়া ইয়ান ওবলাককে পরাস্ত করতে পারেননি ফ্রেঞ্চ সেন্টারব্যাক। এর পরই পিকের ওই চোট। গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়া বার্সেলোনার কাছে যা ছিল দ্বিতীয় বিপর্যয়।

আতলেতিকো জয়ের দিকেই এগোচ্ছিল। কিন্তু তাদের আরেক গোলে এগিয়ে যাওয়ার চেয়ে বার্সেলোনারই গোল শোধের সম্ভাবনা ছিল বেশি। মেসির ক্রসে গ্রিজমান হেড করে বল জমা দেন ওবলাকের কাছে। সবচেয়ে বড় সুযোগ নষ্ট হয় ৮৯ মিনিটে। সের্জি রবার্তোর দূর পাল্লার শট গোলে ঢোকার মুহূর্তে এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। সময় দ্রুত ফুরোচ্ছিল এবং ফুরিয়েই গেল। বার্সেলোনার হয়ে মেসির ৮০০তম ম্যাচে পরাজয় দেখলো দল। এবারের লিগে তৃতীয় পরাজয়, তিনটিই মাদ্রিদের দলের কাছে- রিয়াল মাদ্রিদ ও গেতাফের পর আতলেতিকো। আট ম্যাচে তিন ও দুই ড্র থেকে ১১ পয়েন্ট নিয়ে কাতালানদের অবস্থান দশে। একমাত্র অপরাজিত দল আতলেতিকো ৮ ম্যাচ থেকে ২০ পয়েন্ট নিয়ে রিয়াল সোসিয়েদাদের সমান হলো। যদিও গোল ব্যবধানে ওপরে রয়েছে সোসিয়েদাদ।

 

আরপি/এসআর



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top