পরমাণু অস্ত্র বাঁচাতে জাভেদ মিয়াঁদাদের ‘ভিক্ষা’ শুরু
প্রচুর বেকারত্ব, খাবার জোগানোর সমস্যা ও চরম অর্থ সংকট। পাকিস্তানের বিশাল একটি জনগোষ্ঠি চরম দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। তার ওপর করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ঠ লকডাউনে জীবন অতিবাহিত করাই দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে দরিদ্র পাকিস্তানিদের জন্য।
দিনমজুর মানুষরা জীবিকা হারিয়ে রয়েছেন চরম অর্থকষ্টে। চুলায় হাঁড়ি পর্যন্ত চড়ছে না। লকডাউনের জেরে একেবারেই ভেঙে পড়েছে আগে থেকে ধুঁকতে থাকা পাকিস্তানের অর্থনীতি।
এমন পরিস্থিতিতে দেশ বাঁচাতে ‘ভিক্ষার ঝুলি হাতে’ নিয়ে নামলেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেট অধিনায়ক জাভেদ মিয়াঁদাদ। দেশের অর্থনীতি বাঁচাতে তিনি আক্ষরিক অর্থেই ভিক্ষা করতে নামলেন।
সারা বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় চড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা পাকিস্তানীদের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন, দান করার জন্য।মিয়াঁদাদ জানিয়েছেন, তার দেশের উপর আবার বিশাল ঋণের বোঝা চাপতে পারে।
এবার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ-এর মতো সংগঠনের থেকে ঋণ চাইতে গেলে পাকিস্তানের পরমাণু বোমা বন্ধক রাখতে হবে। না হয় আর কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থা ঋণ দেবে না তাদেরকে।
এ কারণেই মূলতঃ তিনি পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র বাঁচাতে মাঠে নেমে পড়েছেন। একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলেছেন জাভেদ মিয়াঁদাদ। তাতে অর্থ দান করার জন্য নিজের দেশবাসীসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে থাকা পাকিস্তানি নাগরিকদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
সাবেক পাকিস্তান অধিনায়ক টুইটারে একটি ভিডিও প্রকাশ করে বলেছেন, ‘আমি ন্যাশনাল ব্যাংক অফ পাকিস্তানে একটি অ্যাকাউন্ট খুলেছি। আপনাদের কাছে ভিক্ষা চাইছি। দয়া করে ওই অ্যাকাউন্টে অর্থ সাহায্য করুন।
পাকিস্তানের অনেক মানুষ নিজের দেশকেই নির্বিচারে লুটেছে। এবার আমাকে ভিক্ষা দিয়ে তারা নিজেদের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করুক। প্রবাসি পাকিস্তানিদের কাছেও আমার অনুরোধ রইল। আপনারাও দেশের প্রতি নিজেদের কর্তব্য পালন করুন।
তা না হলে আমরা দেশের পরমাণু অস্ত্র বাঁচাতে পারব না। আগেই আমাদের উপর অনেক ঋণের বোঝা রয়েছে। এবার নতুন করে ঋণ চাইতে গেলে আইএমএফ আমাদের পরমাণু অস্ত্র জমা রাখবে।’
মিয়াঁদাদের আশঙ্কা পরমাণু অস্ত্র বন্ধক রাখতে হলে পাকিস্তানের উপর বড় বিপদ নেমে আসতে পারে। যদিও সাবেক পাক অধিনায়কের এই উদ্যোগকে অনেকে রাজনীতির অংশ হিসেবে দেখেছেন।
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে তার সম্পর্ক ভালো নয়। ইমরানের আমলে অর্থনৈতিক অবস্থাকে কটাক্ষ করতেই মিয়াঁদাদ এমন ‘ভিক্ষাবৃত্তি’ করছেন বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।
আরপি / এমবি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: