রাজশাহী শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১


উমর আকমলের ফিক্সিং নিয়ে বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য


প্রকাশিত:
৪ মে ২০২০ ০১:১৯

আপডেট:
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৩:৪৩

ছবি: সংগৃহীত

উমর আকমলকে জুয়াড়িরা প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তিনি সেটা গোপন করেন। ক্রিকেটীয় আইনে তা অপরাধ হলেও ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার মতো নিশ্চয়ই নয়।এই অপরাধে উমর আকমলকে তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।

অনেকেই মনে করছেন, ‘লঘু পাপে গুরু দণ্ড’ হয়েছে আকমলের। তবে এবার যে তথ্য ফাঁস হলো, সেটা যদি সত্য হয়, তবে শাস্তিটাকে বরং কম মনে হতে পারে।উমর আকমলকে নিয়ে এবার মুখ খুললেন তারই এক সময়ের সতীর্থ পাকিস্তানের সাবেক উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান জুলকারনাইন হায়দার।

যিনি কিনা ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ চলার সময়ই দলের কাউকে না জানিয়ে লন্ডনে চলে গিয়েছিলেন।জুলকারনাইন অবশেষে জানালেন, তার হঠাৎ পালিয়ে যাওয়ার পেছনে আসল কারণ ছিলেন এই উমর আকমল।

প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ চলার সময় তাকে একটি ম্যাচে হারার জন্য চাপ দিয়েছিলেন আকমল। রাজি না হওয়ায় সাঙ্গপাঙ্গসহ জুলকারনাইনকে হুমকি দেন তিনি, বাধ্য হয়েই পালাতে হয়।

দুবাইয়ে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে এই হুমকিটা পেয়েছিলেন জুলকারনাইন। তাই প্রাণভয়ে লন্ডনে পালিয়ে যান। এক সাক্ষাতকারে সেই ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে জুলকারনাইন বলেন, ‘আমার মনে আছে, তাকে বলেছিলাম-নিজের কাজ করুন এবং পানি টানুন।

পরে তিনি (উমর) এবং আরও কয়েকজন মিলে আমাকে সরাসরি হুমকি দেন। আমাকে এতটাই যন্ত্রণা করতে থাকেন, মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলাম। তাই কাউকে না বলে লন্ডন চলে আসি।’

দারুণ সম্ভাবনা নিয়ে আন্তর্জাতিক আঙিনায় আসা জুলকারনাইনের ক্যারিয়ার ১ টেস্ট আর ৪ ওয়ানডেতেই থেমে যায় ২০১০ সালের নভেম্বরে। তিনি মনে করেন, আকমলের মত একজনের জন্য তিন বছরের সাজা কম হয়ে গেছে।

পাকিস্তানের সাবেক উইকেটরক্ষকের ভাষায়, ‘তিনি কুখ্যাত সব লেনদেনের সঙ্গে জড়িত। তার তো আজীবন নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্য, সঙ্গে সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা উচিত।’হঠাৎ দল ছেড়ে পালিয়ে গেলেও ২০১১ সালে লাহোরে ফিরেছিলেন জুলকারনাইন।

কিন্তু পাকিস্তানের হয়ে আর ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেননি। তৎকালীন দলীয় ম্যানেজার ইনতিখাব আলম বলেছিলেন, জুলকারনাইন মানসিকভাবে অসুস্থ।

 

আরপি/ এমবি

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top