পেট্রোলিনার মিডফিল্ডার গ্লেইসনের পাশে দানি-ক্যাসেমিরো
দুই মাসের মধ্যে অনেকটাই বদলে গেলো ব্রাজিলের স্থানীয় ক্লাব পেট্রোলিনার মিডফিল্ডার গ্লেইসনের জীবন। শহরের ছোট্ট একটি ক্লাবের ফুটবলার থেকে এখন রীতিমতো দেশের অন্যতম প্রতিভায় পরিণত হয়েছেন তিনি। সকলের নজর কেড়েছেন ১৯ বছর বয়সী এ মিডফিল্ডার।
আর গ্লেইসনকে সবার সামনে তুলে ধরতে, তার পাশে দাঁড়িয়েছেন ব্রাজিল জাতীয় দলের দুই ফুটবলার দানি আলভেস ও ক্যাসেমিরো। গ্লেইসন মূলত আইডল মেনে থাকেন ক্যাসেমিরোকে এবং তার প্রতিবেশি অঞ্চলেই বাস দানির।
মাসদুয়েক আগে প্রথমবারের মতো ব্রাজিলের বিখ্যাত সাও পাওলো কাপ (যা কি না কোপিনহা নামে পরিচিত) টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ পেয়েছিল গ্লেইসনের পেট্রোলিনা। স্বাভাবিকভাবেই সবকয়টি ম্যাচে হেরেছে নবাগত দলটি।
তবে নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে আলাদা করে সকলের মনোযোগ কেড়ে নেন গ্লেইসন। ব্রাজিলের বড় বড় সব ক্লাবের কর্মকর্তারা রীতিমতো থ হয়ে যান এ তরুণ ফুটবলারের পায়ের জাদুতে। এরপর থেকেই তাকে নিয়ে চলতে থাকে আলোচনা। যা পৌঁছে যায় দানি-ক্যাসেমিরোর কানে।
ফুটবলার হওয়ার জন্য দরিদ্রতার সঙ্গে নিত্য লড়াই করতে হচ্ছে গ্লেইসনকে। তার বাবা কাজ করেন এক নারিকেল খামারে। যেখানে বাবাকে সাহায্য করার জন্য থাকতে হয় গ্লেইসনকেও। দিনে অন্তত ২ হাজার নারিকেল পেড়ে, সেগুলো বাজারজাত করে মাত্র ৮ ইউরো পান গ্লেইসন।
তার বাড়ি থেকে পেট্রোলিনার মিউনিসিপাল স্টেডিয়ামের দূরত্ব প্রায় ১২ কিলোমিটার। টাকার অভাবে বাস বা গাড়ি ধরতে পারেন না গ্লেইসন। ফলে নারিকেল খামারে অমানুষিক পরিশ্রমের পর ১২ কিমি পথ দৌড়ে অনুশীলনের জন্য মাঠে যান এ ফুটবল পাগল তরুণ।
গ্লেইসনের এ আত্মত্যাগ ও পরিশ্রমে আবেগাপ্লুত ক্যাসেমিরো। গ্লেইসনের জন্য নিজের একটি জার্সি পাঠিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘তুমি হয়তো ১২, ১৫ কিংবা ২০ কিলোমিটারও দৌড়াতে পারো। তবে এই দৌড়টা হতে হবে তোমার স্বপ্নের পেছনে ছোটার দৌড়।’
প্রতিবেশি অঞ্চলে বসবাস করা দানি আলভেসও নিজের সাক্ষরিত একটি জার্সি দিয়েছেন। সঙ্গে ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন, ‘আমিও একজন উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ফুটবলার। তোমাকে বলতে চাই যে, এটা সত্যি আমাদের জন্য সম্মান ও গর্বের যে এই খেলাটাকে কেউ এত ভালোবাসে। আমরা দুজনই উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের খেলোয়াড়, এতে আমি বেশ খুশি।’
আরপি/ডিজে

                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: