রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২রা মে ২০২৪, ১৯শে বৈশাখ ১৪৩১


সিলেটকে হারিয়ে চতুর্থ শিরোপা জয় কুমিল্লার


প্রকাশিত:
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১০:২২

আপডেট:
২ মে ২০২৪ ০৪:০২

ছবি: সংগৃহীত

পারলেন না মাশরাফি বিন মর্তুজা। ক্রিকেট মাঠে হার না মানা নড়াইল এক্সপ্রেসের সামনে সুযোগ ছিল বিপিএলের সফলতম অধিনায়ক হিসেবে রেকর্ডবুককে আরও সমৃদ্ধ করার। তবে পঞ্চমবারের মতো ট্রফিটা উঁচু করে ধরা হলো না ক্রিকেটের ২২ গজের এই মহাতারকার। উল্টো তৃতীয়বারের মতো ট্রফি জিতে মাশরাফির সেই মাইলফলকের আরও কাছে চলে আসলেন ইমরুল কায়েস। শিরোপা জয়ের দিন সিলেটকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

এদিকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শুরু হওয়া ম্যাচে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দারুণ হয় সিলেটের। প্রথম ওভারেই দলটির স্কোরবোর্ডে যোগ হয় ১৮ রান। তবে পরের ওভারের প্রথম বলেই আউট হন সিলেটের তারকা ব্যাটার তৌহিদ হৃদয়। তানভীর ইসলামের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেন এই ডানহাতি। এরপর উইকেটে আসেন অধিনায়ক মাশরাফি। তবে আজকের ফাইনালে হাসে নি নড়াইল এক্সপ্রেসের ব্যাট। চার বল খেলে মাত্র ১ রান করেন তিনি।

মাশরাফির ফেরার পর ম্যাচের হাল ধরেন শান্ত ও মুশফিক। এই দুইজন মিলে সিলেটের রানের খাতা সমৃদ্ধ করতে থাকেন। এরমধ্যেই ৩৮ বলে অর্ধশতক তুলে নেন শান্ত। সমান তালে ব্যাট করতে থাকেন মুশফিকও। এই দুই ব্যাটারের উপর ভর করেই বড় সংগ্রহের পথে এগোতে থাকে এবারের বিপিএলে শুরু থেকেই চমক দেখিয়ে আসা সিলেট স্ট্রাইকার্স।

দারুণ খেলতে থাকা নাজমুল শান্ত’র ব্যাটিং তান্ডব থামে ইনিংসের ১২.২ ওভারে। মঈন আলীর বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে ৪৫ বলে ৬৪ রান করেন এখন পর্যন্ত এবারের আসরের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকের শীর্ষে থাকা শান্ত। এই বাঁহাতি ফেরার পর দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে সিলেট। তবে উইকেটের এক প্রান্ত আগলে ব্যাট করতে থাকেন মুশি। তুলে নেন অর্ধশতকও।

সবশেষ ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’ এর ব্যাটে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে স্কোরবোর্ডে ১৭৫ রান তুলতে সক্ষম হয় সিলেট স্ট্রাইকার্স। তিন ছয় ও পাঁচ চারের মারে ৪৮ বলে ৭৪ রান করে অপরাজিত থাকেন মুশি।

কুমিল্লার হয়ে সর্বোচ্চ দুইটি উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান। একটি করে উইকেট নেন আন্দ্রে রাসেল, তানভীর ইসলাম, সুনীল নারিন ও মঈন আলী।

১৭৬ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় কুমিল্লা। দলীয় ৩৪ রানে সুনীল নারাইন ও ইমরুল কায়েসকে হারায় দলটি। তবে পরক্ষনেই দলকে খাদের কিনারা থেকে তুলে আনেন ওপেনার লিটস দাস ও জনসন চার্লস। এই দুই ব্যাটারের কল্যাণে বড় জুটি গড়ে জয়ের পথে এগোতে থাকে ভিক্টোরিয়ান্স।

তবে ইনিংসের ১২.৪ ওভারে ৩৯ বলে ৫৫ রান করে রুবেলের বলে শান্তর হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরেন লিটন দাস। এরপর উইকেটে আসেন মঈন আলী। বাকি সময়টা কুমিল্লার জন্য শুধুই অপেক্ষার। জনসন চার্লসের বিধ্বংসী ব্যাটে ভর করে শেষ পর্যন্ত চার বল বাকি থাকতেই সাত উইকেটের জয় নিশ্চিত হয় মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের দলের।

তবে ম্যাচের একটা সময় জয় অনেকটা নিজেদের দখলে ছিল মাশরাফির দলের। তবে ইনিংসের ১৮ তম ওভারে ২৩ রান দিয়ে সেই আশায় গুড়েবালি দেন সিলেটের পেসার রুবেল হোসেন। কার্যত তখনই শেষ হয়ে যায় সিলেটের জয়ের শেষ আশাটুকুও।

কুমিল্লার হয়ে ৫২ বলে পাঁচ ছয় ও সাত চারের মারে সর্বোচ্চ ৭৯ রান করে অপরাজিত থাকেন জনসন চার্লস। মঈন আলীর ব্যাট থেকে আসে ১৭ বলে ২৫ রান।

সিলেটের হয়ে সর্বোচ্চ দুইটি উইকেট নেন রুবেল হোসেন। একটি উইকেট শিকার করেন জর্জ লিন্ডে।

 

 

 

আরপি/এসআর-০২


বিষয়: বিপিএল


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top