‘কামারুজ্জামানের হাত ধরেই রাজশাহীর এগিয়ে যাওয়া শুরু’
জাতীয় চার নেতার অন্যতম এএইচএম কামারুজ্জামানের হাত ধরেই দেশের ক্রীড়ার প্রাণকেন্দ্র রাজশাহীর এগিয়ে যাওয়া শুরু হয় বলে মন্তব্য করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল হাসান।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকালে রাজশাহী জেলা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজশাহীতে ৩৪তম বিভাগীয় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এসময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল হাসান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কামরুল হাসান বলেন, রাজশাহীর ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অতীত ইতিহাস অত্যন্ত সমৃদ্ধ। এ অঞ্চলের কৃতিসন্তান জাতীয় চার নেতার অন্যতম এএইচএম কামারুজ্জামান ১৯৬২ সালে জেলা ক্রীড়া সংস্থায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন ধরনের খেলায় রাজশাহী অবদান রেখে চলেছে।
তিনি বলেন, ২০০৫ সালে দক্ষিণ কোরিয়াতে অনুষ্ঠিত নারী ফুটবল প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ দলে রাজশাহীর চার জন মেয়ে ছিল। আমাদের দেশের ক্রিকেটে রাজশাহীর সন্তান খালেদ মাসুদ পাইলটের অবদান অপরিসীম। জলকন্যা হিসেবে খ্যাত কুলসুমের বাড়িও রাজশাহী। এছাড়া খোদা বক্স মৃধা ১৯৭২ সাল থেকে দীর্ঘদিন জনপ্রিয় ক্রীড়া ধারাভাষ্যকার হিসেবে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে এক নামে পরিচিত ছিলেন।
রাজশাহীকে শিক্ষানগরী হিসেবে উল্লেখ করে সচিব বলেন, শিক্ষানগরী হিসেবে যেমন সারা দেশে রাজশাহীর সুনাম রয়েছে, তেমনি রাজশাহী সিল্কের খ্যাতিও এখন সারাবিশ্বে স্বীকৃত। ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মাধ্যমে একটি দেশ বিশ্বের কাছে পরিচিত লাভ করতে পারে। সেজন্য ছেলে-মেয়েদেরকে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে যাতে তারা খেলাধুলায় নিজেদের মেধাকে কাজে লাগিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে পারে।
রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরউল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নবীরুল ইসলাম, রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি নরেশ চাকমা, আরএমপির পুলিশ কমিশনার আনিসুর রমহান ও জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল।
বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের আয়োজনে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় বিভাগের ৮ জেলাসহ নগরীর সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের সন্তানরা অংশগ্রহণ করে। এবারের প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন ইভেন্টে মোট ৩০০ জন প্রতিযোগী অংশ নেয়।
আরপি/এসআর-০৩
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: