আল-আমিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
স্ত্রী ইসরাত জাহানের করা মামলায় আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় জাতীয় দলের ক্রিকেটার আল-আমিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। বুধবার (১২ অক্টোবর) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেন এ আদেশ দেন।
গত ১ সেপ্টেম্বর আল-আমিনের বিরুদ্ধে যৌতুক ও নারী নির্যাতনের অভিযোগ এনে ভিন্ন দুটি ধারায় মামলা করেন তার স্ত্রী ইসরাত জাহান। মামলার পর আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
ওই মামলায় আজ আদালতে হাজির হওয়ার কথা ছিলো আল-আমিনের। তবে সময়মতো আদালতে হাজির হননি তিনি। আল-আমিনের পক্ষে তার আইনজীবী সময়ের আবেদন করে। অন্যদিকে, আল-আমিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন বাদী ইসরাত জাহানের আইনজীবী।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বাদীপক্ষের আবেদন মঞ্জুর করে আল-আমিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।
আল-আমিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীপক্ষের আইনজীবী শামসুজ্জামান গণমাধ্যমকে জানান, 'যেহেতু আসামিপক্ষের আবেদনেই আজ শুনানির তারিখ নির্ধারিত হয়েছিল, তা অমান্য করে আজকে সময় চাওয়া অন্যায়। সে কারণে আসমির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন বিচারক।'
এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর স্ত্রী ইসরাত জাহানের করা এক সঙ্গে বসবাসের অধিকার, মাসিক ভরণ-পোষণ ও সন্তানদের খরচ দাবিতে করা মামলায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন আল-আমিন। ৬ অক্টোবর পর্যন্ত আল-আমিনের জামিন মঞ্জুর করা হয় সেসময়।
এরপর ৬ অক্টোবর আবারও আদালতে উপস্থিত হন আল-আমিন। আইনজীবীর মাধ্যমে লিখিত জবাব দাখিল করে বৈবাহিক সম্পর্কের তিক্ততা বৃদ্ধি এবং অনৈতিক কার্যকলাপের কারণে ২৫ আগস্ট স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন বলে জানান জাতীয় দলের এই ক্রিকেটার।
গত ৭ সেপ্টেম্বর একসঙ্গে বসবাসের অধিকার, মাসিক ভরণ-পোষণ ও সন্তানদের খরচ দাবি করে আদালতে মামলা করেছিলেন আল-আমিনের স্ত্রী। সেই মামলাতেই আল-আমিনকে আদালতে হাজির হতে আদেশ দেওয়া হয়।
মামলায় বলা হয়, ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর আল-আমিন ও ইসরাত জাহান বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। দু'জনের সংসারে দুটি পুত্রসন্তান রয়েছে। বড় ছেলে মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে ইংরেজি ভার্সনে কেজিতে পড়াশোনা করছে। বেশ কিছুদিন ধরে আল-আমিন তার স্ত্রী ও সন্তানদের ভরণ-পোষণ না দেওয়ার পাশাপাশি তাদের এড়িয়েও চলছেন। কোনো যোগাযোগও করেন না তিনি।
আরপি/ এসএডি-১৫
বিষয়: আল-আমিন গ্রেফতারি পরোয়ানা
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: