রাজশাহী শনিবার, ২৭শে এপ্রিল ২০২৪, ১৫ই বৈশাখ ১৪৩১


জয়-হৃদয়ের ব্যাটে সিরিজ জয় বাংলাদেশ ইমার্জিংয়ের


প্রকাশিত:
১৩ মার্চ ২০২১ ০০:০৭

আপডেট:
২৭ এপ্রিল ২০২৪ ০৭:৪৩

ছবি: সংগৃহীত

ভিন্ন দুই সমীকরণ নিয়ে শুক্রবার মিরপুরে মাঠে নামে দুই দল বাংলাদেশ ইমার্জিং দল ও আয়ারল্যান্ড উলভস। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের চতুর্থ ম্যাচটি জিতে যেখানে সিরিজ জয় নিশ্চিতের মিশন ছিল স্বাগতিক দলের সামনে, সেখানে সফরকারীদের লক্ষ্য ছিল এই ম্যাচটি জিতে সিরিজে টিকে থাকা।

তবে আগের দুই ম্যাচের মতো এই ম্যাচটিও জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। পেসার সুমন খানের ৪ উইকেটের পর মাহমুদুল হাসান জয় ও তৌহিদ হৃদয়ের ফিফটিতে ৮ উইকেটে ম্যাচ জিতে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে সাইফ হাসানরা।

দুই দলের ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ করোনার কারণে পরিত্যক্ত হয়। চট্টগ্রামে পরের দুই ম্যাচ জিতে সিরিজে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ এইচপি দল। চট্টগ্রাম পর্ব শেষ করে মিরপুরে ফিরেছে দুই দলের লড়াই। যেখানে চতুর্থ ওয়ানডেতে প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড উলভসকে সহজেই হারিয়েছে স্বাগতিকরা।

এদিন শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে স্কোর বোর্ডে মাত্র ১৮২ রান জমা করে আয়ারল্যান্ড। সহজ লক্ষ্য সহজেই টপকে যায় বাংলাদেশ এইচপি দল। যদিও রান তাড়া করতে নেমে শুরুতে ধাক্কা খায় স্বাগতিকরা। হারিয়ে বসে ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের উইকেট। ২ রান করে তামিম আউট হওয়ার পর হতাশ করেন ইয়াসির আলী রাব্বি। পিটার চেসের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন তামিমের সমান ২ রান করে।

এরপরের গল্পটা জয় আর হৃদয়ের। মিরপুরের বাইশ গজে সফরকারী বোলারদের শাসন করেন দুই ব্যাটসম্যান। গড়েন অবিচ্ছেদ্য ১৭৬ রানে জুটি। এরই এক ফাঁকে নিজের ফিফটি তুলে নেন জয়। জয়ের ইনিংসটি কিছুটা ধীর গতির হলেও বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে থাকেন হৃদয়। পরে তিনিও ব্যক্তিগত অর্ধশতক তুলে নেন। যেখানে ফিফটি করতে জয়ের লাগে ৯৮ বল, সেখানে হৃদয় ৬৯ বলেই পঞ্চাশ পূর্ণ করেন।

পরে দলের আর কোনও বিপদ হতে দেননি এই দুই ব্যাটসম্যান। ৫১ বলে হাতে রেখে ৮ উইকেটে ম্যাচ জয়ের সঙ্গে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। এদিন হৃদয় ৯৭ বলে ৮৮ ও জয় ১৩৫ বলে ৮০ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামে আইরিশরা। তবে পেসার সুমন খানের বোলিং তোপে একেবারেই সুবিধা করতে পারেনি তারা। মাত্র ১৮২ রানেই গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। বল হাতে একাই ৪ উইকেট নেন সুমন। সাইফ হাসান, রকিবুল হাসান এবং মুকিদুল ইসলামরা দুইটি করে উইকেট নেন।

ইনিংসের প্রথম ১২ ওভারে ৫৪ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে আয়ারল্যান্ড উলভস। পঞ্চম উইকেটে লরকান টাকারকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন মার্ক অ্যাডায়ার। তবে এই জুটি খুব বড় করতে দেননি রকিবুল। ৪০ রানে থাকা অ্যাডায়ারকে ফিরিয়ে ৪৬ রানের পার্টনারশিপ ভাঙেন এই স্পিনার। পরে ২৪ রানে থাকা টাকারকেও সাজঘরে ফেরান তিনি। ফলে ১১২ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারিয়ে বসে আয়ারল্যান্ড।

পরে রুহান প্রিটোরিয়াসের ৩৫ ও গ্রাহাম হিউমের অপরাজিত ২৯ রানের কল্যাণে অলআউট হওয়ার আগে স্কোর বোর্ডে ১৮২ রানের পুঁজি পায় আয়ারল্যান্ড উলভস।

সংক্ষিপ্ত স্কোর-:

আয়ারল্যান্ড উলভস: ১৮২/১০, ৪৬.২ ওভার (অ্যাডায়ার ৪০, প্রিটোরিয়াস ৩৫, হিউম ২৯; সুমন ৪/৩১)

বাংলাদেশ এইচপি দল: ১৮৬/২, ৪১.৩ ওভার (হৃদয় ৮৮*, জয় ৮০*; চেস ২/২৯)

ফল: বাংলাদেশ এইচপি দল ৮ উইকেটে জয়ী।

আরপি / এমবি-৪



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top