রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ৯ই মে ২০২৪, ২৭শে বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীতে বিসর্জনের মাধ্যমে দুর্গোৎসবের সমাপ্তি (ভিডিও)


প্রকাশিত:
৯ অক্টোবর ২০১৯ ১২:০১

আপডেট:
১০ অক্টোবর ২০১৯ ০০:৩০

ছবি: সংগৃহীত

বিজয়া দশমীতে একদিকে উৎসবের আমেজ অন্যদিকে চোখের জলে বিদায় জানিয়েছেন মা দুর্গাকে। এক বছরের জন্য বাপের বাড়ি ছেড়ে যাচ্ছেন দেবী দুর্গা। তাইতো সবার মধ্যেই যেন বিষাদের ছায়া। মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দশমী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। তারপর হয় সিঁদুর খেলা।

বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে বিসর্জন। এরমধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটল সনাতন সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার। ট্রাকে করে দলে দলে প্রতিমা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে পদ্মার পাড়ে। তারপর বাদ্য বাজনা আর নাচের পর্ব শুরু। এক পর্যায়ে একের পর এক বিসর্জন।

সনাতন ধর্মাবলম্বীর সকলেই ঢাকের তালে তালে উৎসবে মেতে ওঠেন। একে অন্যকে সিঁথি, কপাল, গায়ে সিঁদুর মাখিয়ে দেন। সনাতন সম্প্রদায়ের বিশ্বাস সিঁদুর বিনিময়ের মধ্য দিয়ে সকলের মঙ্গল হবে। অটুট থাকবে সিঁথির সিঁদুর। স্বামী সন্তানসহ পরিবারের সকলকে নিয়ে ভাল কাটবে বছরটি।

মঙ্গলবার দুপুর দেড়টা থেকে রাজশাহীতে পূজা উদযাপন পরিষদ এবং মহানগর শাখার উদ্যোগে বিজয়া শোভাযাত্রা শেষে পদ্মানদীর বিভিন্ন স্থানে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়। নিরঞ্জনে অংশ নিতে দুপুরের পর থেকেই মহানগরীর বিভিন্ন এলাকার পূজামণ্ডপ থেকে ভক্তরা ট্রাক করে প্রতিমা নিয়ে সমবেত হতে শুরু করেন নদীর ধারে। 

মন্দির ও শোভাযাত্রার পথে বিপুল সংখ্যক পুলিশের পাশাপাশি মোতায়েন করা হয় সাধারন কমিটির সদস্যদের। ট্রাকে প্রতিমা নিয়ে নারী-পুরুষ, শিশু, কিশোর হেঁটে এবং বিভিন্ন ধরনের যানবাহনে করে শোভাযাত্রায় অংশ নেন। বর্ণিল পোশাকে সজ্জিত হয়ে ভক্তরা ঢাক-ঢোল, করতাল ও অন্যান্য বাদ্যযন্ত্রসহ শোভাযাত্রায় যোগ দেয়।


রাস্তার দু’পাশে দাঁড়ানো হিন্দু নারীদের উলুধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে চারদিক। সাহেববাজার আলুপট্টি মোড়, সাধুর মোড়, সাগরপাড়া,অলোকার মোড় বিভিন্ন স্থানে দেখা যায় অসংখ্য ভক্তের ভিড়। । প্রতিমা ঘাটে নিয়ে আসার পর ভক্তরা শেষবারের মতো ধূপ-ধুনো নিয়ে আরতিতে মেতে ওঠেন। এছাড়াও প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া দেখতে রাস্তায় বেরিয়ে এসছেন মুসলিম নারী-পুরুষরাও।

উল্লেখ্য, এবার সপ্তমী অর্থাৎ দেবীর আগমনের দিন শনিবার এবং ফেরার দিন মঙ্গলবার হওয়ায় শাস্ত্রমতে দুর্গা এবার আসছেন ঘোটকে বা ঘোড়ায় চেপে, একই বাহনে তিনি ফিরেন। দুর্গার ঘোড়ায় চড়ে এলে বা গেলে তার ফল হয়- ‘ছত্রভঙ্গস্তুরঙ্গমে’। অর্থাৎ- সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংসারিক, প্রাকৃতিক ক্ষেত্রে অস্থিরতা, বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা, দুর্ঘটনা, অপমৃত্যুর শঙ্কা। 

ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন:

 

আরপি/এমএইচ 

 

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top