রাজশাহী শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১

কেমন আছেন নগরীর পুরাতন বই দোকানীরা?


প্রকাশিত:
২৫ অক্টোবর ২০২০ ০০:১২

আপডেট:
২৬ এপ্রিল ২০২৪ ০১:৫৯

মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ হোসেন

সোনাদীঘি মসজিদের কোল ঘেষে গড়ে উঠেছে রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী পুরাতন বইয়ের দোকান। নিম্নবিত্ত ও অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের একমাত্র আশ্রয়স্থল এই পুরাতন লাইব্রেরী। মধ্যবিত্তরা যে যায় না ঠিক তেমনটিও না। কি নেই এই লাইব্রেরীতে? একাডেমিক, এডমিশন, জব প্রিপারেশনসহ সব ধরনের বই রাখা আছে সারি সারি সাজানো। 


নতুন বইয়ের দোকানের সন্নিকটে হওয়ায় সব সময় শিক্ষার্থীদের আনাগোনা থাকে চোখে পড়ার মতো। অসংখ্য লোকের জীবিকা নির্ভর করে এসব দোকানকে কেন্দ্র করে। বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ এর প্রভাব পড়েছে পুরাতন বইয়ের দোকানেও। ছাত্রশূন্য নগরীতে অনেকটাই অলস সময় পার করছে দোকানীরা। তবে এডমিশন কেন্দ্রীক শিক্ষার্থীরা আসতে শুরু করায় আশার আলো দেখছেন তারা। 


এরই মধ্যে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের উদ্দ্যোগে নতুন রূপ পেতে শুরু করেছে সোনাদীঘি। তারই অংশ হিসেবে বিভিন্ন স্থাপনা, মসজিদ ও অবৈধ স্থাপনা, উচ্ছেদের কাজ শেষ পর্যায়ে। ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে বেশ কয়েকটি পুরাতন বইয়ের দোকান। পেটের দায়ে মনিচত্বর মোড়েই অস্থায়ী দোকান গড়ে তুলছে দোকানীরা। 


এ নিয়ে কথা হয় পুরাতন বই বিক্রেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ হোসেনের সাথে। সোনাদীঘি মোড়কে নিয়ে মেয়র লিটনের উদ্দ্যোগকে স্যালুট জানিয়ে বলেন, আমরা উন্নয়নে বিশ্বাসী। দেশের উন্নয়নে রাজশাহীবাসীর উন্নয়নে যে কোনো ত্যাগ করতে প্রস্তত আছি। 


পরবর্তীতে পুরাতন লাইব্রেরীর পুনর্বাসনের বিষয়ে তিনি বলেন, সেরকম সুস্পষ্ট কোনো কিছু এখনও জানানো হয় নি। আশা করি মাননীয় মেয়র মহোদয় অবশ্যই আমাদের কথা চিন্তা করে কোন ঘোষণা দিবেন। 


এসময় পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে পুলিশ সদস্যরা সার্বিক সহযোগীতা করছেন। কাউকে কোন চাঁদা দিতে হয় না। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বেচা-কেনা করছি। 


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক বিক্রেতা বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা না থাকলে কিভাবে কেনা-বেচা হয়? আমাদের কাজই তো ছাত্রদের নিয়ে। খুব কষ্টের মধ্যে দিন পার করছি। কেউ কোন সাহায্য সহযোগিতাও করে না। 


আবারও সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশে ফিরবে এই শিক্ষানগরী। শিক্ষার্থীদের কোলাহলে নতুন প্রাণ পাবে বইয়ের দোকানগুলো এমনটাই প্রত্যাশা বিক্রেতাদের। 

 

আরপি/এসআর



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top