রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১


'২০৩০ সালের মধ্যে দেশের চেহারা পাল্টে যাবে'


প্রকাশিত:
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০০:৩২

আপডেট:
২৫ এপ্রিল ২০২৪ ০০:২৩

ছবি: সংগৃহীত

সরকার দেশের মানুষের উন্নয়নের চাওয়া পূরণ করতে পেরেছে মন্তব‌্য করে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, এভাবে চলতে থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের চেহারা পাল্টে যাবে।

শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী শেওলা স্থলবন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রম উদ্বোধন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠান এবং মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিকল্পিত উন্নয়নের কারণে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অতীতের সরকারগুলোর অপরিকল্পিত উন্নয়ন ভাবনা এবং প্রকল্পে লুটপাটের কারণে আমরা ক্রমশ: পিছিয়ে যাচ্ছিলাম’।‘এখন প্রতিটি প্রকল্প স্বচ্ছভাবে পরিচালিত হওয়ায় উন্নয়ন কার্যক্রম ত্বরান্বিত হচ্ছে। গ্রামীণ উন্নয়নে প্রতিনিয়ত আমরা নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ করছি।’

তিনি বলেন, রাজনীতি, উন্নয়ন, গণতন্ত্র একসাথে চালাতে হবে, যা চালকের আসনে থেকে পরিচালিত করছেন শেখ হাসিনা। সব পর্যায় থেকে দুর্নীতি দূর করতে তিনি কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। তার যোগ্য নেতৃত্বে করোনাকালীন এই কঠিন সময়েও বাংলাদেশের অর্থনীতি মজবুত অবস্থানে রয়েছে। কাগুজে তালিকায় পড়ে থাকা এই স্থলবন্দরকে আধুনিকায়নের মাধ্যমে পুরো এলাকাকে বিনিয়োগবান্ধব জনপদ হিসেবে গড়ে তোলার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কে এম তারিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত কাস্টমস কমিশনার রাশেদুল হাসান, সিলেটের জেলা প্রশাসক কাজি এম এমদাদুল ইসলাম, ইউএনও মৌসুমী মাহবুব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জকিগঞ্জ সার্কেল) সুদীপ্ত রায়, বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আতাউর রহমান খান।সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য মুহাম্মাদ জাকির হুসেন, বিয়ানীবাজার আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দেওয়ান মাকসুদুল ইসলাম প্রমুখ।

১২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে শেওলা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ রুপ দেওয়া হচ্ছে। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেক্টিভিটি প্রজেক্ট-১ এর আওতায় বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হতে পারে। উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আগে প্রতিমন্ত্রী শেওলা বন্দর ঘুরে দেখেন।

আ্রপি/ এসআই-১৩



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top