ছেলেদের অত্যাচারে বাড়িছাড়া পৃথক দুই মা
সুলতানা রাজিয়া ও আহিনুর বেগম। একই শহরে বাস করেন দুজন। কেউ কাউকে না চিনলেও দুজনের পরিণতি হয়েছে একই। নিজের বাড়িঘরে জায়গা হয়নি তাদের। মাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন তাদের সন্তানরা।
পৃথক দুটি ঘটনায় মাদকাসক্ত সন্তানদের বিরুদ্ধে আদালতে পৃথক মামলাও করেছেন দুই মা। তারপরও নিরাপত্তা পাচ্ছেন না তারা।
ভুক্তভোগী আহিনুর বেগম চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের মল্লিক পাড়ার হাশেম আলীর স্ত্রী। ২১ অক্টোবর ছেলে শাহিন শেখ ও পুত্রবধূ ময়না খাতুনের নামে চুয়াডাঙ্গা আমলি আদালতে মামলা করেছেন তিনি।
মামলায় তিনি উল্লেখ করেছেন, ছেলে শাহিন শেখ মাদকাসক্ত। তার নেশার টাকা জোগাড় করে দিতে না পারায় বাড়ি ছাড়তে হয়েছে তাকে। শুধু বাড়িই ছাড়তে হয়নি, ছেলের হাতে মারও খেতে হয়েছে তাকে।
চাহিদামতো টাকা দিতে না পারায় মায়ের ওপর ক্ষুব্ধ হন শাহিন শেখ। এক পর্যায়ে মাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন। ঘরে থাকা মায়ের সাংসারিক জিনিসপত্রও বিক্রি করে দেন তিনি।
এ মামলায় শাহিন শেখের বিরুদ্ধে আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
অপরদিকে সুলতানা রাজিয়া চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের দক্ষিণ হাসপাতাল পাড়ার মৃত হারুন অর রশিদের স্ত্রী। ছেলে সুলতান আহমেদ প্রায়ই তার মাকে মারধর করেন। ঘরে থাকা প্রায় তিন লাখ টাকা মূল্যের জিনিসপত্র বিক্রি করে দিয়েছেন তিনি।
এ ঘটনায় গত ১১ অক্টোবর ছেলে সুলতান আহমেদের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গা আমলি আদালতে মামলা দায়ের করেন সুলতানা রাজিয়া। ১৮ অক্টোবর পুলিশ সুলতান আহমেদকে গ্রেফতার করে।
পরদিন আদালত থেকে তিনি জামিনে মুক্ত হন। এর তিনদিন পর বাড়ির আঙিনায় থাকা প্রায় এক লাখ টাকা মূল্যের বিভিন্ন ধরনের ফলদ গাছ কেটে বিক্রি করে দেন সুলতান। এ বিষয়ে শুক্রবার চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় আরও একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি আবু জিহাদ খান বলেন, এ ধরনের একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশি তদন্তের পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরপি/এসকে
বিষয়: মা বাড়ি ছাড়া চুয়াডাঙ্গা অত্যাচার
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: