প্রতি জেলায় ভ্রাম্যমাণ ল্যাবরেটরি

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার প্রতি জেলায় ভ্রাম্যমাণ ল্যাবরেটরি করার উপর জোর দিয়েছেন। নিরাপদ ও ভেজালমুক্ত খাদ্য নিশ্চিত করতে এমনটা করতে চান তিনি। একই সঙ্গে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চলমান কার্যক্রম আরো জোরদার ও গতি বাড়ানোর তাগিদ দেন মন্ত্রী।
বুধবার (১৫ জুলাই) বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ আয়োজিত পরিচিতি ও মতবিনিময় সভায় মন্ত্রীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি একথা বলেন।
সভা সমন্বয় ও সঞ্চালনা করেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ডক্টর মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রমুখ।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিয়ে আমরা অতীতে বিভিন্ন সেমিনারসহ অনেক কাজ করেছি। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির জন্য সে কাজগুলো সেভাবে আর হচ্ছে না। কিন্তু অচিরেই নতুন করে পুরোদমে কার্যক্রম শুরু করা হবে। আমরা যাতে খাদ্যে ভেজালমুক্ত থাকতে পারি, নিরাপদ খাদ্য ভোগ করতে পারি সে লক্ষ্যেই ২০১৩ সালে নিরাপদ খাদ্য আইন এবং ২০১৫ সালে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠিত হয়।
‘কেউ যেন ভেজাল খাদ্য তৈরি করতে না পারে, ভেজাল খাদ্য বিক্রি করতে না পারে, প্রতিটি খাদ্যের নিরাপত্তা যেন নিশ্চিত হয় সেদিকে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, আইন, বিধি-বিধান যতই তৈরি করা হোক না কেন যদি এগুলোর সঠিক প্রয়োগ না হয়, কার্যকারিতা না থাকে, তবে তা কোনো সুফল বয়ে আনবে না। এজন্য আধুনিক ল্যাবরেটরি স্থাপনের প্রয়োজন এবং কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। প্রতিটি জেলায় ভ্রাম্যমাণ টেস্টিং ল্যাবরেটরি তৈরি করতে পারলে যত বেশি খাদ্যদ্রব্য টেস্ট করা যাবে তত বেশি মানুষ এ সম্পর্কে জানতে পারবে ও সচেতন হবে।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য মনজুর মোরশেদ আহমেদ সভায় একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।
সভায় আরো জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় ২০১৮ সাল থেকে ২ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে ‘জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং যথারীতি উৎসাহ-উদ্দীপনায় দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
আরপি/আআ-১৮
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: