রাজশাহী শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ই আশ্বিন ১৪৩১


প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা : যেভাবে গ্রেফতার হলেন সাহেদ


প্রকাশিত:
১৫ জুলাই ২০২০ ১৬:৩৩

আপডেট:
১৫ জুলাই ২০২০ ১৭:১৯

ছবি: সংগৃহিত

করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট প্রদান ও অর্থ আত্মসাতসহ প্রতারণার অভিযোগে রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মো. সাহেদকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। বুধবার সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

দেবহাটা উপজেলার শাখরা কোমরপুর বেইলি ব্রিজের পাশে নর্দমার মধ্যে থেকে বোরকা পরা অবস্থায় তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

এ সময় তার কাছ থেকে একটি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারের পর সাংবাদিকদের সামনে ব্রিফ করেন র‌্যাবের এডিজি কর্নেল তোফায়েল আহম্মেদ।

সাহেদকে গ্রেফতারের সময় প্রত্যক্ষদর্শী কোমরপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম বলেন, আজ ভোরে আমরা যখন ফজরের নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হয়েছি তখন দেখলাম বেইলি ব্রিজের ওপারে র‌্যাবের তিনটি গাড়ি এসে থামলো।

এরপর র‌্যাব সদস্যরা চিৎকার করে বলতে থাকেন এই পেয়েছি। ধর ধর। এ সময় আমরা সবাই এগিয়ে গিয়ে দেখতে পেলাম তারা সাহেদকে ধরে ফেলেছেন। পরে তারা তাকে ব্রিজ পার করে এপারে নিয়ে আসেন।

এপারে নদীতে একটি নৌকা আছে। সাহেদ তার স্বীকারোক্তিতে র‌্যাবকে বলেছে এই নৌকাতে করেই নদী পাড়ি দিয়ে তার ভারতে চলে যাওয়ার কথা ছিল।

তিনি ওই ব্রিজের পাশে একটি ছোট ড্রেন দেখিয়ে বলেন, ওইখানে একটি নর্দমার মতো রয়েছে। সেই ড্রেনের ভেতরে বোরকা পরে শুয়ে ছিলেন প্রতারক সাহেদ। শোয়া অবস্থায় তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

এ সময় তার পরণে শার্ট, প্যান্ট ও বোরকা ছিল। আর তার কোমরে ছিল একটি পিস্তল। পরে র‌্যাব উপস্থিত জনতার সঙ্গে কথা বলে ও ছবি তুলে তাকে এখান থেকে নিয়ে যায়।

সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী বুধবার সকাল ৯টার দিকে রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মো. সাহেদকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি ঢাকায় এসে পৌঁছেছে।

 

 

আরপি / এমবি-২



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top