রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ৯ই মে ২০২৪, ২৭শে বৈশাখ ১৪৩১


ত্রিদেশীয় পানির বন্যায় ২৩ জেলা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা


প্রকাশিত:
১৫ জুলাই ২০২০ ০১:৪৩

আপডেট:
৯ মে ২০২৪ ০৮:১৬

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের মেঘালয়, চেরাপুঞ্জি, আসাম ও ত্রিপুরা এবং চীন ও নেপালের পানি এসে দেশে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। ত্রিদেশীয় পানির বন্যায় ২৩ জেলা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি বিষয়ে এক অনলাইনে ব্রিফিংয়ে এমনটা জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। এসময় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মহসিন উপস্থিত ছিলেন।

ডা. এনামুর রহমান জানিয়েছেন, গত ২৭ জুন থেকে যে বন্যা শুরু হয়েছিল সেটা আগাম বন্যা ছিল। সেটা ৬ ও ৭ জুলাই থেকে উন্নতি লাভ করেছে। কিন্তু ১১ জুলাই থেকে ফের পানি বেড়েছে। পানিটা ১৭ জুলাই সর্বোচ্চ বাড়বে। সেই বৃদ্ধিটা আরও এক থেকে দুই সপ্তাহ স্থায়ী হবে। ২৩টি জেলায় বন্যা বিস্তৃতি লাভ করবে। 

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, পদ্মা নদ-নদীর পানি বাড়ছে। আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত এ বৃদ্ধিটা অব্যাহত থাকবে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি আরিচা পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করবে।

তিনি বলেন, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, বগুড়া, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, নাটোর, নওগাঁ, মুন্সিগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী ও ঢাকা জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।

এ মুহূর্তে বন্যাকবলিত জেলার সংখ্যা ১৭টি জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মোট বন্যাকবলিত ইউনিয়নের সংখ্যা ৪৬৪টি, পানিবন্দি পরিবারের সংখ্যা ২ লাখ ৯৪ হাজার ২৭৪টি, বন্যায় মোট ক্ষতিগ্রস্ত লোকের সংখ্যা ১৪ লাখ ৫৭ হাজার ৮২৭ জন।

তিনি বলেন, সরকারের ত্রাণ সহায়তা চালিয়ে যাওয়ার মতো সক্ষমতা আছে। আরও যত বড় দুর্যোগ আসুক না কেন, দুর্যোগ যত দীর্ঘস্থায়ী হোক না কেন, দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের ত্রাণ সহায়তা দেওয়ার মতো সক্ষমতা আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা সরকারের আছে।

সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি আমাদের মাঠ প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধি, দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকরা যদি ত্রাণ প্রস্তুত ও বিতরণের কাজে অংশগ্রহণ করে তাহলে অতীতে যেমন বড় বড় বন্যা মোকাবিলা করেছি, একইভাবে এবারও মোকাবিলা করতে পারবো। মানুষের দুঃখকষ্ট লাঘব করতে পারবো।

 

আরপি/আআ-০২



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top