রাজশাহী বুধবার, ৮ই মে ২০২৪, ২৫শে বৈশাখ ১৪৩১


করোনার উপসর্গ নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম এ হকের মৃত্যু


প্রকাশিত:
৩ জুলাই ২০২০ ২২:২৮

আপডেট:
৩ জুলাই ২০২০ ২২:২৮

কোভিড-১৯ মহামারীর উপসর্গ নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ হক (৬৫) মারা গেছেন (ইন্না ... রাজিউন)। সিলেটের নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শুক্রবার বেলা ১১টায় তিনি মারা যান। সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আলী আহমদ বিষয়টি যুগান্তরকে নিশ্চিত করেছেন।

মঙ্গলবার নিউমোনিয়া ও কাশি নিয়ে সিলেটের নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন এমএ হক। বুধবার রাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়।
তার শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি আছে কিনা তা এখনও জানা যায়নি। তার করোনা টেস্টের জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
আলী আহমদ জানান, এমএ হকের করোনা উপসর্গ থাকায় সতর্কতার সঙ্গে তার দাফন ও জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। বাদ আসর নগরীর মানিকপীরের টিলার সামনের সড়কে তার জানাজা ও বাদ এশা তার গ্রামের বাড়ি বালাগঞ্জ উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামে দ্বিতীয় জানাজা শেষে দাফন করা হবে।

এমএ হক সিলেট জেলা বিএনপির দীর্ঘদিন সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছিলেন। তিনি এক সময় সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেন।
এমএ হকের গ্রামের বাড়ি বালাগঞ্জ উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামে। দীর্ঘ ১২ বছর ছিলেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি। ২০০৩ ও ২০০৮ সালের সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে মেয়র পদে চারদলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কিন্তু বিজয়ী হতে পারেননি।
নির্বাচনে পরাজয়ের পর তিনি রাজনীতির ময়দানে ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে ২০০৪ সালে জেলা বিএনপির কমিটি ভেঙে দিয়ে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। তিনি বাদ পড়েন ওই কমিটি থেকে। পরে বিএনপির সবশেষ কমিটিতে তাকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা করা হয়।
রাজনৈতিক কর্মজীবনের পাশাপাশি হক তার দাতব্য কাজের জন্য সুপরিচিত। তিনি হক ফাউন্ডেনের পৃষ্ঠপোষক। এই দাতব্য সংস্থা সিলেটের অসহায় অভাবগ্রস্ত সম্প্রদায়কে সহায়তা করে থাকে। এমএ হক দুই সন্তান, স্ত্রী এবং অসংখ্য বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন রেখে যান।
বাদ আসর মানিকপীর রোডে প্রথম জানাজা ও রাত সাড়ে ৮টায় বালাগঞ্জ উপজেলায় গ্রামের বাড়িতে দ্বিতীয় জানাজা শেষে মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হবে বলে জানান জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আহমেদ।

 

আরপি/ এআর-০৭



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top