রাজশাহী শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১


টয়লেট ও উঠানের মাটি খুঁড়ে পাওয়া গেল বিপুল পরিমাণ সরকারি ওষুধ


প্রকাশিত:
১ জুলাই ২০২০ ১৭:৩৫

আপডেট:
২৬ এপ্রিল ২০২৪ ০১:৩৫

ছবি: সংগৃহীত

লালমনিরহাট সদর থেকে তৃতীয় দফায় এবার মাটির নিচ থেকে বিপুল পরিমাণ সরকারি ওষুধ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসব ওষুধের আনুমানিক মূল্য লক্ষাধিক টাকা।

মঙ্গলবার (৩০ জুন) সন্ধ্যায় শহরের স্টোর পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওষুধ ব্যবসায়ী শরাফত আলীর বাড়ি থেকে এসব সরকারি ওষুধ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, গত ২৫ জুন গ্রেফতারকৃত টাউন ফার্মেসির মালিক ব্যবসায়ী শরাফত আলীর দেয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে সদর থানার ওসি মহাফুজ আলমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল স্টোরপাড়া এলাকায় তার বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় তার বাড়ির পেছনে টয়লেট ও উঠানের মাটি খনন করে ৭ প্রকারের সরকারি ওষুধ উদ্ধার করে পুলিশ।

এর আগে গত ২৩ জুন মঙ্গলবার শহরের ড্রাইভারপাড়া এলাকায় একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে ২৫ প্রকারের সরকারি ওষুধ ও ১৭৫টি ডিজিটাল ওয়েট মেশিনসহ আব্দুর রাজ্জাক রেজা ও তার স্ত্রী নিলুফা ইয়াসমিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

ওই দিন রাতে সদর থানার এসআই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে আব্দুর রাজ্জাক রেজার ভাই হামিদুর রহমান দুলু (৪৫), আদিতমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টোরকিপার মাহবুব আলম (৫৮), কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টোরকিপার জাকারিয়া (৪০) ও লালমনিরহাট সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্টোরকিপার মোয়াজ্জেম হোসেনসহ (৪৫) ৬ জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

পরে আব্দুর রাজ্জাক রেজার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৫ জুন শহরের টাউন ফার্মেসিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ সরকারি ওষুধ উদ্বার করে। এ ঘটনায় ওই ফার্মেসির মালিক ওষুধ ব্যবসায়ী শরাফত আলীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়।


লালমনিরহাট সদর থানার ওসি মাহফুজ আলম জানান, শরাফত আলীর দেয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মাটির নিচ থেকে ২ বস্তা ওষুধ উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, সরকারি ওষুধ চুরির সিন্ডিকেটের সঙ্গে যারাই জড়িত থাক না কেন কেউ রেহাই পাবে না।

এদিকে পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশে একটি পুকুর থেকে ১ বস্তা সরকারি ওষুধ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বাউরা ইউনিয়নের উপ-সহকারী কমিউনিটি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রমেশ চন্দ্র বলেন, পুকুরে পাওয়া ওষুধ আমাদের না।

সরকারি হাসপাতালের তিন স্টোরকিপারের বিরুদ্ধে ওই ওষুধ সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে মামলা হলেও এখন পর্যন্ত লালমনিরহাট স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে তাদের বিরুদ্ধে কোনো রকম ব্যবস্থা না নেয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

এ ব্যাপারে লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় বলেন, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নন। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে যথাসময়েই ব্যবস্থা নেবে।

 

 

আরপি/এমএইচ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top