রাজশাহী বুধবার, ১৫ই মে ২০২৪, ২রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


বীরপ্রতীক বদিউজ্জামান টুনু আর নেই


প্রকাশিত:
২২ জুন ২০২০ ১৭:০৪

আপডেট:
১৫ মে ২০২৪ ১৩:৫৩

বীরপ্রতীক বদিউজ্জামান টুনু

একাত্তরের রণাঙ্গনের অকুতোভয় যোদ্ধা বীরপ্রতীক বদিউজ্জামান টুনু আর নেই। রোববার রাত ১২টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না লিল্লাহি ... রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।

বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিউজ্জামান টুনুর পৈতৃক বাড়ি রাজশাহী মহানগরীর লক্ষ্মীপুর ঝাউতলা মোড়ে। এ বাড়িতেই তিনি থাকতেন। রাজশাহীর সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কবি আরিফুল হক কুমারের চাচা শ্বশুর তিনি।

আরিফুল হক কুমার তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বেশ কিছু দিন ধরেই শারীরিক নানা সমস্যায় ভুগছিলেন বদিউজ্জামান টুনু।

তিনি আরও জানান, কিছু দিন আগে বদিউজ্জামান টুনুর পা ভেঙে গিয়েছিল। এ ছাড়া বার্ধক্যজনিত সমস্যা তো ছিলই। সপ্তাহখানেক আগে তিনি স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। এর পর তাকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর তাকে বাসায় নেয়া হয়েছিল।

শনিবার তিনি আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর পর তাকে আবারও রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

প্রায় দুই বছর আগে বদিউজ্জামান টুনুর স্ত্রী ফিরোজা বেগম মারা গেছেন। তার দুই ছেলে ও তিন মেয়ে। এদের মধ্যে এক ছেলে থাকেন কানাডায়। আরেক মেয়ে থাকেন অস্ট্রেলিয়ায়।


অন্য দুই মেয়ে থাকেন ঢাকায়। আরেক ছেলে থাকেন লক্ষ্মীপুর ঝাউতলার বাসায়। পরিবারের সবার সঙ্গে আলোচনা করে বীরপ্রতীক বদিউজ্জামান টুনুর দাফনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলেও জানান আরিফুল হক কুমার।

বদিউজ্জামান টুনু ১৯৭১ সালে একটি ওষুধ কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। তখন তার বয়স ছিল ৪২ বছর। ওই বয়সেই তিনি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন।

ভারতে গিয়ে সশস্ত্র যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নেন। গেরিলাযুদ্ধের পাশাপাশি সম্মুখযুদ্ধও করেন।

মুক্তিযুদ্ধে সাহস ও বীরত্ব প্রদর্শনের জন্য বদিউজ্জামান টুনু বীরপ্রতীক খেতাব পান।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বদিউজ্জামান টুনুর বড় ভাইয়ের দুই ছেলে, ছোট ভাই, ভগ্নিপতি ও ভাগনি জামাই নজমুল হককে হত্যা করে।

নজমুল হক পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের এমএনএ (মেম্বার অব ন্যাশনাল অ্যাসেমব্লি) ছিলেন।

 

 

আরপি/এমএএইচ-০৩



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top