রাজশাহী রবিবার, ১৯শে মে ২০২৪, ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


দুই শিশুকে নির্যাতন, ইউপি সদস্যসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা


প্রকাশিত:
১৪ জুন ২০২০ ০৩:২৪

আপডেট:
১৪ জুন ২০২০ ০৩:৩০

ছবি: সংগৃহীত

মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলায় দুই শিশুকে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার সেনগাঁও ইউনিয়নের দেওধা গ্রামের এ ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। পীরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে নির্যাতিত শিকার শিশু সুমনের মা শরিফা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, থানায় এজাহার দেয়ার সাতদিন গত হলেও দোষীরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।

শরিফা জানান, তার স্বামীর বড় ভাই মোতালেব আলী তাকে খারাপ প্রস্তাব দেন। এতে তিনি রাজি হননি। শেষে তাকে ঘায়েল করতে ১১-১২ বছর বয়সী ছেলে সুমন ও চাচাতো দেবরের ছেলে কামরুল ইসলামকে গত ২২ মে মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগ আটক করে গ্রামে সালিশ বৈঠক আয়োজন করা হয়।

এলাকার ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম নেতৃত্বে মোতালেব আলীসহ আরও কয়েকজন আমার ছেলে ও কামরুলের হাত পা বেঁধে লাঠি দিয়ে বেদম মারপিট করে। এতে তারা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। সেই চিত্র ক্যামেরায় ধারণ করে তার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে নির্যাতনকারীরা।

কিন্তু তাদের দাবি পূরণে ব্যর্থ হলে টাকার বদলে বাড়ি থেকে একটি গরু নিয়ে যায় তারা। এ ঘটনায় গত শুক্রবার (৫ জুন) পীরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন শরিফা খাতুন।

স্থানীয় বাসিন্দা সফিকুল ইসলাম বলেন, মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে দুই শিশুর ওপর বর্বর নির্যাতন চালিয়েছে ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা। শিশু দুটি চিৎকার করে প্রাণ ভিক্ষা চাইলেও তাদের পেটানো হয়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম বলেন, আব্দুল লতিফ নামে এক ব্যক্তির একটি মোবাইল ফোন চুরি করে ওই দুই শিশু। এর আগেও তারা নানা রকম অপরাধ করেছে। পারিবারিকভাবে তাদের শাসন করা হচ্ছিল। তা ছাড়া যার মোবাইল ফোন চুরি হয় তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের মারধর করেছেন, আমি মারধর করিনি। শরিফা মিথ্যে অভিযোগ করেছে।

সেনগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলামসহ তার সহযোগীরা মিলে দুই শিশুকে হাত-পা বেঁধে যেভাবে নির্যাতন করেছেন তা বড় ধরনের অপরাধ।

পীরগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি প্রদীপ কুমার রায় বলেন, শিশুদের নির্যাতন করাটা অন্যায় হয়েছে। মামলার আসামিরা কেউ এলাকায় নেই, তাদেরকে গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে।

 

আরপি / এমবি-৫



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top