রাজশাহী শুক্রবার, ১৭ই মে ২০২৪, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


এবার চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত কৃষকের তালিকা ঝুলানোর নির্দেশ খাদ্যমন্ত্রীর


প্রকাশিত:
১৯ মে ২০২০ ০০:০৮

আপডেট:
১৭ মে ২০২৪ ১১:৪৩

ছবি: সংগৃহীত

ধান সংগ্রহে কৃষকের নামের লটারি করার পর চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত কৃষকের নামের তালিকা ইউনিয়ন অফিসের তথ্য কেন্দ্রে এবং সরকারি খাদ্য গুদামের অফিসে দৃশ্যমানভাবে ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। পাশাপাশি লটারি করার পর অপেক্ষমান কৃষকের নামের তালিকাও তৈরি করে রাখতে হবে।

মন্ত্রী আজ মিন্টো রোডস্থ সরকারি বাসভবন থেকে খুলনা বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এসব নির্দেশনা দেন। ভিডিও কনফারেন্সটি সঞ্চালনা করেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম।

ভিডিও কনফারেন্সে খুলনা বিভাগের আওতাধীন প্রতিটি জেলার করোনা পরিস্থিতি, চলতি বোরো ধান কাটা-মাড়াই, সরকারিভাবে ধান চাল সংগ্রহসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন খাদ্যমন্ত্রী। তিনি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকা হালনাগাদ করার নির্দেশ দেন।

কনফারেন্সে উপস্থিত খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এ পর্যন্ত জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন ভিত্তিক কতজনকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে এবং প্রকৃত গরীব, দুস্থ কতজনকে নতুন করে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে সে তথ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন।

পাশাপাশি দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ তালিকা হালনাগাদ করে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করার নির্দেশ দেন খাদ্যমন্ত্রী।সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, কৃষকের স্বার্থের কথা চিন্তা করে; তাদের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করার জন্য ধান-চাল কেনার ক্ষেত্রে ধানকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী এবারের বোরো মৌসুমে ৮ লাখ মেট্রিক টন ধান সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ক্রয় করা হবে। যা করোনা দুর্যোগ মোকাবিলায় সহায়ক হবে।খাদ্যমন্ত্রী আরো বলেন, লটারির মাধ্যমে প্রকৃত কৃষকদের মধ্যে থেকে কৃষক নির্বাচন করা হবে।

যদি কোন কৃষক তার স্লিপ মধ্যস্বত্বভোগীদের নিকট বিক্রি করে তাহলে সেই কৃষকের কার্ড বাতিল করা হবে এবং সে সমস্ত মধ্যস্বত্বভোগীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি প্রদান করা হবে। কোন কৃষক যেন খাদ্যগুদামে ধান দিতে এসে ফেরত না যায় এবং কোনভাবেই যেন কৃষক হয়রানি না হয় সেজন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে সতর্ক করেন তিনি।

খাদ্য সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম বলেন, কোনোভাবেই পুরোনো চাল নেয়া যাবেনা; চাল সংগ্রহের ক্ষেত্রে নিশ্চিত করতে হবে যে সংগ্রহকৃত চাল এবারের বোরো ধানের চাল; পাশাপাশি বস্তার গায়ে স্টেনসিল ব্যবহার করার নির্দেশ দেন তিনি।

ভিডিও কনফারেন্সে খুলনা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, খুলনা আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, কুষ্টিয়া, বাগেরহাট, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, মাগুরা, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর ও সাতক্ষীরা জেলার জেলা প্রশাসকগণ, খুলনা বিভাগের আওতাধীন প্রতিটি জেলার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকগণ বক্তব্য রাখেন।

 

 

আরপি / এমবি



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top