রাজশাহী রবিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৫, ৮ই বৈশাখ ১৪৩২


নিজ এলাকার ২ কি.মি’র মধ্যেই কেনাকাটার নির্দেশ পুলিশের


প্রকাশিত:
৮ মে ২০২০ ০৩:৫৩

আপডেট:
২০ এপ্রিল ২০২৫ ২২:৪৪

সংগৃহীত

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কেনাকাটা করতে আগ্রহী ক্রেতাদের নিজ এলাকার ২ কিলোমিটারের মধ্যের শপিংমলে কেনাকাটার নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। বৃহস্পতিবার এক আদেশে বিষয়টি জানায় ডিএমপি।

আদেশে বলা হয়, ক্রেতারা তাদের নিজ নিজ এলাকার ২ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত শপিংমলে ঘোষিত সময়ের মধ্যে কেনাকাটা করতে পারবেন। এক এলাকার ক্রেতা অন্য এলাকায় অবস্থিত শপিংমলে কেনাকাটা বা গমনাগমন করতে পারবেন না।

গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে ডিএমপি জানায়, করোনাকালীন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আওতাধীন এলাকাসমূহে শপিংমল ও মার্কেট খোলা রাখার ব্যাপারে ডিএমপি’র নির্দেশনাসমূহ হচ্ছে :

১. সরকার ঘোষিত নির্ধারিত সময় সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শপিংমল ও দোকান খোলা রাখা যাবে। তবে ফুটপাতে বা প্রকাশ্য স্থানে হকার/ফেরিওয়ালা/অস্থায়ী দোকানপাট বসতে দেওয়া যাবে না।

২. করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ক্রেতারা তাদের নিজ নিজ এলাকার ২ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত শপিংমলসমূহে ঘোষিত সময়ের মধ্যে কেনাকাটা করতে পারবেন। এক এলাকার ক্রেতা অন্য এলাকায় অবস্থিত শপিংমলে কেনাকাটা বা গমনাগমন করতে পারবেন না।

৩. প্রত্যেক শপিংমলের প্রবেশমুখে স্বয়ংক্রিয় জীবাণুনাশক টানেল বা চেম্বার স্থাপন করতে হবে এবং তাপমাত্রা মাপার জন্য থার্মাল স্ক্যানারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। এছাড়াও প্রত্যেক দোকানে পৃথকভাবে তাপমাত্রা মাপার ব্যবস্থা রাখতে হবে।

৪. বসবাসের এলাকা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রত্যেক ক্রেতা তার নিজ নিজ পরিচয়পত্র (যেমন : ব্যক্তিগত আইডি কার্ড/পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স/বিদ্যুৎ/গ্যাস/পানির বিলের মূল কপি ইত্যাদি) বহন করবেন এবং তা প্রবেশমুখে প্রদর্শন করবেন।

৫. প্রতিটি শপিং মলে প্রবেশের ক্ষেত্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারসহ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে। মাস্ক পরিধান ব্যাতীত কোনো ক্রেতা দোকানে প্রবেশ করতে পারবে না। সকল বিক্রেতা ও দোকান কর্মচারীকে মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস্ পরিধান করতে হবে।

৬. প্রতিটি শপিংমলে প্রবেশ, বাহির ও কেনাকাটার সময় ক্রেতা-বিক্রেতাকে কমপক্ষে ১ মিটার (প্রায় ৪০ ইঞ্চি) দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এই নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে দোকানে যতজন ক্রেতা অবস্থান করতে পারেন তার বেশি ক্রেতাকে প্রবেশ করতে দেয়া যাবে না।

৭. প্রতিটি শপিংমল/বিপণি বিতানের সামনে সতর্কবাণী ‘স্বাস্থ্য বিধি না মানলে, মৃত্যু ঝুঁকি আছে’ সম্বলিত ব্যানার টানাতে হবে।

৮. সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য প্রত্যেক দোকানের সামনে দূরত্ব মেপে মার্কিং করতে হবে।

৯. শপিংমলগুলোতে বয়স্ক, শিশু ও অসুস্থদের (হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও অন্যান্য) গমনাগমনে নিরুৎসাহিত করতে হবে।

১০. কেনা-কাটা শেষে মার্কেটে অযথা জটলা বা ভিড় সৃষ্টি করা যাবে না। যাদের কেনাকাটা শেষ হয়ে যাবে মার্কেট কর্তৃপক্ষ মাইকিং করে তাদের বের করে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন।

১১. শপিংমলগুলোতে প্রবেশ ও বাহিরের আলাদা পথ নির্ধারণ করে দিতে হবে।

১২. প্রত্যেক শপিংমলের পার্কিং লটে গাড়ি জীবাণুমুক্ত করণের ব্যবস্থা থাকতে হবে। এছাড়াও ড্রাইভাররা যাতে একত্রিত হয়ে আড্ডা না দেয় এবং নিজ নিজ গাড়িতে অবস্থান করে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

১৩. যারা মাস্ক পরে আসবে না তারা মার্কেট থেকে কিনে নেবে অন্যথায় যাতে মার্কেটে প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে।

১৪. শপিংমলগুলোতে যাতায়াতের জন্য সীমিত পরিসরে সাধারণ রিকশা ও সিএনজি চালু থাকবে। তবে সিএনজিতে ২ (দুই) জনের অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনে নিরুৎসাহিত করা হলো। প্রতিটি যাত্রী এবং চালক মাস্ক পরিধান করবেন।

 

 

আরপি / এমবি



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top