রাজশাহী বুধবার, ৯ই অক্টোবর ২০২৪, ২৫শে আশ্বিন ১৪৩১


শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা নিজেদের সংখ্যালঘু বলবেন না


প্রকাশিত:
৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৮:৪৩

আপডেট:
৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৮:৪৬

হিন্দুধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এদেশে সবার সমান নাগরিক সুবিধা পাওয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি আপনাদের সবাইকে বলবো নিজেদের সংখ্যালঘু না বলার জন্য। এই মাটি আপনাদের, এই দেশ আপনাদের, এই জন্মভূমি আপনাদের। কেন নিজেদের মধ্যে এই বিশ্বাস থাকবে না।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) গণভবনে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশ, মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি ও হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টসহ হিন্দুধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

আওয়ামীলীগের ধর্মীয় সম্প্রীতি ধওে রাখার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অন্তত আওয়ামী লীগ সরকার যতদিন ক্ষমতায় আছে কখনও আমরা ওই রকম ব্যবধান করে দেখি না। প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে সবাই উপযুক্ত হলে সমান সুযোগ পাবে। সেটা আমরা নিশ্চিত করি। এদেশে সবার সমান অধিকার রয়েছে। এটা শুনি, আমার কাছে খারাপ লাগে আপনারা নিজেদের কেন এভাবে খাটো করে দেখবেন। বাংলাদেশ আমাদের সবার।

মুক্তিযুদ্ধে অন্যান্য ধর্মের ভূমিকার কথা তুলে তিনি বলেন, যখন মহান মুক্তিযুদ্ধে সবাই অংশগ্রহণ করেছে, যখন বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছে, এক ভাইয়ের রক্ত আরেক ভাইয়ের রক্তের সঙ্গে মিশে গেছে, সেই রক্তকে ভাগ করতে যাইনি, ভাগ হতে পারে না। ‘আমাদের শরণার্থীরা যখন ভারতে আশ্রয় নিল তখন তো তারা দেখেনি কে হিন্দু কে মুসলমান। সবার পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতা করেছে। এটা আমরা ভুলবো কি করে, এই যে অবদানটা সেটাও আমাদের মনে আছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব সময় এটাই লক্ষ্য থাকবে আমাদের প্রত্যেকটা ধর্ম আজ যার যার। আমাদের ঈদ বলেন, আপনাদের পূজা বলেন বা বৌদ্ধ পূর্ণিমা বলেন, অথবা বড় দিন। এখন কিন্তু বাংলাদেশে, পৃথিবীতে বাংলাদেশেই বোধ হয় সবচেয়ে বেশি এই যে ধর্মীয় একটা পরিবেশ এত সুন্দর আন্তরিক পরিবেশে প্রত্যেকটা ধর্মীয় অনুষ্ঠান আমরা মিলে মিশে আমরা উদযাপন করি। এখানে কিন্তু আর কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকে না, সবাই মিলেই সবার অনুষ্ঠানে যাই।

বিএনপি-জামায়াত আমলে সংখ্যালঘু নির্যাতন হয়েছে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি জামায়াতের চরিত্রটাই এরকম। আপনারা জানেন তারা কীভাবে অত্যাচার করে। বিভিন্ন ঘটনার পর... বিভিন্ন মন্দির ভাঙা হয়েছে, কীভাবে অত্যাচার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, নানাভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর চরম অত্যাচার নির্যাতন হয়েছে। তখন আমরা ছুটে গিয়েছি সবার কাছে। এমনকী ঢাকেশ্বরী মন্দির পর্যন্ত পুড়িয়ে দিয়েছিল। আপনাদের মনে আছে। আমরা সেটা আবার নতুনভাবে করে দিয়েছি।

আওয়ামী লীগ কখনো বিভেদের রাজনীতি বিশ^াস করে না মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির কাজই ছিল এ ধরনের ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালানো। আমরা তো আক্রমণের শিকার মুসলমানরা তো আছি। এভাবে সব সময় তারা একটা বিভেদ সৃষ্টি করা এই প্রচেষ্টা তারা নিয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ কখনও এতে বিশ্বাস করে না।

 

 

আরপি/এমএইচ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top