রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ১০ই অক্টোবর ২০২৪, ২৬শে আশ্বিন ১৪৩১


বনবিভাগে নেই ফরেনসিক ব্যবস্থা, পাঠানো হয়েছে সিআইডি বিভাগে


প্রকাশিত:
৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২০:২৪

আপডেট:
৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২০:২৭

 মৃত বাঘিনীটি

সুন্দরবন থেকে গত ২১ আগস্ট উদ্ধার করা মৃত বাঘিনীটির মৃত্যুর কারণ এখনও জানা যায়নি । বাংলাদেশ বন বিভাগে নেই কোনো প্রাণীর ফরেনসিক টেস্টের ব্যবস্থা। তাই বাঘিনীটি কিছু অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে সিআইডির  ফরেনসিক বিভাগে।

বন বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বন বিভাগের ২০১৬ সাল থেকে নিজস্ব ল্যাব থাকলেও সেখানে নেই ফরেনসিক টেস্টের সক্ষমতা। বনবিভাগের ল্যাবে শুধু বন্যপ্রাণীর প্রজাতি নির্ণয় করা যায়।

বন্যপ্রাণী অপরাধ তদন্ত বিভাগের পরিচালক এএসএম জহির উদ্দিন আকন জানান, বন বিভাগের ল্যাবে বন্যপ্রাণী প্রজাতির নির্ধারণ করার কাজ করা হয়। গত ২১ আগস্ট সুন্দরবন থেকে যে বাঘটি উদ্ধার করা হয়েছে প্রাথমিক ময়নাতদন্তে তার মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। তাই কোনো রাসায়নিক বা বিষ প্রয়োগে মৃত্যু হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হতেই সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে কেমিক্যাল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। সিআইডি থেকে রিপোর্ট এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ খুঁজে পাওয়া যাবে।

এ বিষয়ে প্রধান বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, ২০১৬ থেকে বনবিভাগের নিজস্ব ল্যাব রয়েছে। তবে ল্যাবে ডিএনএ সিকোয়েন্সিং এখনও চালু করা হয়নি। ফলে এখানে কেমিক্যাল টেস্ট করা সম্ভব হয় নি, তাই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে বাঘের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সিআইডির ফরেনসিক ডিপার্টমেন্টে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও বন্যপ্রাণী গবেষক নূরজাহান সরকার বলেন, উন্নত বিশ্বে বন্যপ্রাণীর জন্য বিশেষ ফরেনসিক ল্যাব থাকে এবং সেই ল্যাবে বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ টেকনিশিয়ানরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। আমাদের দেশে সেই ব্যবস্থা নেই।

সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের ছাপড়াখালীর থেকে গত ২১ আগস্ট এই বাঘিনীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বাঘটি লম্বায় লেজসহ ৭ দশমিক ৭৫ ফুট এবং উচ্চতা ৩ ফুট। বন্যপ্রাণী গবেষকরা ধারণা করছেন এটির আনুমানিক বয়স সাত থেকে আট বছর।

বন্যপ্রাণী গবেষক, বিশেষজ্ঞ ও ছাত্র-ছাত্রীদের গবেষণার জন্য একটি আধুনিক বিশেষায়িত ফরেনসিক বন্যপ্রাণী ল্যাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই বন্যপ্রাণী ফরেনসিক ল্যাবের প্রতি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি দেয়া জরুরি বলেও বিশেষজ্ঞরা মতামত দেন।

আরপি/ এমএএইচ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top