স্বাস্থ্যবিধি মেনে ধাপে ধাপে চালু হচ্ছে সব কারখানা
                                প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে জেলাজুড়ে সাধারণ ছুটির মধ্যেই রবিবার থেকে ধাপে ধাপে পোশাক কারখানা খুলতে শুরু করেছে। সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে তারা উৎপাদন শুরু হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
আজ সোমবার গার্মেন্টস খাত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রোববার প্রথম ধাপে ঢাকা মহানগরের কয়েকটি কারখানা চালু হয়েছে। তবে এগুলো ঢাকায় অবস্থানরত শ্রমিক দিয়েই চলবে। একইসঙ্গে কারখানায় শ্রমিকের প্রবেশের আগে মাপা হচ্ছে তাপমাত্রা। দেওয়া হচ্ছে মাস্ক ও পোশাক। বাধ্যতামূলক করা হয়েছে হাত ধোয়া। একটু পরপর ছিটানো হচ্ছে জীবাণুনাশকও।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) বলছে, যেসব কারখানায় রফতানি আদেশ বাতিল হয়নি, যাদের কাজ আছে, সেগুলো কয়েকটি ধাপে চালু করা হচ্ছে। প্রথম ধাপে রবিবার ঢাকার ৮টি কারখানা খোলা হয়েছে। এছাড়া একইদিন বিকেএমইএ সদস্যভুক্ত ১০ থেকে ১২টি কারখানা চালু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) থেকে খোলা হবে আশুলিয়া আর মানিকগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত কারখানাগুলো। এছাড়া আগামী রবিবার (৩০ এপ্রিল) থেকে চালু হবে নারায়ণগঞ্জসহ কাচপুর, রূপগঞ্জ এলাকার কারখানাগুলো। পাশাপাশি আগামী ২, ৩, ৪ মে টঙ্গী এবং ময়মনসিংহ এলাকার কারখানাগুলো চালু হবে।
তবে কারখানা শ্রমিক যদি ঢাকার বাইরে থাকেন, তাহলে তাদের আপাতত ঢাকায় আসতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। পরিবহন ব্যবস্থা চালু হলে তারা কাজে যোগদান করবেন। এক্ষেত্রে মানবিক দিক বিনেচনায় কোনো শ্রমিকের চাকরি চলে যাবে না। বরং তারা নির্দিষ্ট সময়ে বিকাশের (মোবাইল ব্যাংকিং) মাধ্যমে নিজেদের বেতন পেয়ে যাবেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশে এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ইএবি) সভাপতি এবং বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদি গণমাধ্যমকে জানান, করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন ধরে লকডাউনের মতো অবস্থা বিরাজ করছে। আমাদের অনেক অর্ডার বাতিল হয়েছে। এখন আমরা কয়েকটি ধাপে কারখানা চালু করবো।
শুরুতে রবিবার (২৬ এপ্রিল) ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় চালু হয়েছে। ঢাকা কমলাপুর, শাহজাহানপুর, বাড্ডা ইত্যাদি এলাকার ছোট কারখানাগুলো চালু হয়েছে। পরে আশুলিয়া-মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ-কাঁচপুর, টঙ্গী-ময়মনসিংহ এলাকায় চালু হবে।
তিনি আরও বলেন, কোনো শ্রমিক এ মুহূর্তে গ্রামে অবস্থান করলে, তিনি সেখানেই থাকবেন এখন। বেতন বিকাশের মাধ্যমে পেয়ে যাবেন। পরে এসে কাজে জয়েন করবেন। চাকরি যাবে না। আমরা কারখানা চালু করব যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে।
আরপি/ এমবি

                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: