রাজশাহী শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ই আশ্বিন ১৪৩১


হাসপাতালে নিতে এগিয়ে এলো না কেউ, সিড়িতে মৃত্যু ব্যবসায়ীর


প্রকাশিত:
২৭ এপ্রিল ২০২০ ২২:৫৮

আপডেট:
২৭ এপ্রিল ২০২০ ২৩:০০

 

হাসপাতালে নিতে সাহায্য চাইলেও কেউ এগিয়ে এলেন না। অবশেষে স্ত্রী ও দুই মেয়ে হাসপাতালে নেয়ার চেষ্টা করলেন। চারতলা থেকে নিচে নামানোর সময় সিড়িতে মৃত্যু ঘটলো ব্যবসায়ীর। নারায়ণগঞ্জের গলাচিপা এলাকায় ঘটেছে এমন ঘটনা।

নারায়ণগঞ্জ শহরের গলাচিপা এলাকায় করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন খোকন সাহা নামে এক ব্যবসায়ী। হাসপাতালে নেওয়ার পথে বাড়ির সিঁড়িতেই মারা যান তিনি। মৃত্যুর পর মরদেহ ছুঁয়েও দেখেনি তার আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীরা। স্ত্রী কন্যাদের কান্না দেখেও কেউ এগিয়ে আসেনি। তবে শেষ পর্যন্ত লাশটি সৎকারের ব্যবস্থা করেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (নাসিক) কাউন্সিলর খোরশেদ।

মৃত খোকন সাহা কালীরবাজারে জেবিএল কনফেকশনারির মালিক। গলাচিপা চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকায় তিনিসহ সাত বন্ধু মিলে সাততলা ভবন নির্মাণ করে ওই ভবনের ৪ তলাতে স্ত্রী ও ছোট দুই মেয়ে নিয়ে থাকতেন।

জানা গেছে, খোকনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আশপাশের ফ্ল্যাটে থাকা তার বন্ধুদের এবং আত্মীয়দের ডেকেছিলেন হাসপাতালে নিয়ে যেতে সহযোগিতা করতে। কিন্তু কেউ আসেননি। পরে স্ত্রী ও ছোট দুই মেয়েই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তবে সিঁড়ি দিয়ে নামানোর সময়ই তিনি মারা যান। এরপরও কেউ এগিয়ে আসেনি। পরে কাউন্সিলর খোরশেদকে খবর দেওয়া হয়।

রোববার দুপুর ১২টার দিকে খবর পেয়ে কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ তার দলের লোকজন নিয়ে খোকন সাহার সৎকার করেন। স্বজনরা কেউ না আসায় তার মুখাগ্নি করেন কাউন্সিলর খোরশেদ নিজেই।

কাউন্সিলর খোরশেদ জানান, সকালের দিকে যখন তিনি করোনা পজেটিভ হোসনে আরা নামক এক নারীর দাফন করছিলেন তখন তার কাছে ফোন আসে খোকন সাহা নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। কিন্তু তার আত্মীয়-স্বজন বিষয়টি জানালেও কেউ মরদেহের কাছে আসেনি। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি ওই ভবনের তিন এবং চারতলার মাঝামাঝি সিঁড়িতে তিনি মরে পড়ে আছেন। পরে তার সৎকারের ব্যবস্থা করি।

 

আরপি/ এএন



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top