রাজশাহী শনিবার, ২৭শে জুলাই ২০২৪, ১৩ই শ্রাবণ ১৪৩১


বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস

চাকরিচ্যুত প্রকৌশল বিভাগের পরিচালক, প্রধান প্রকৌশলী বরখাস্ত


প্রকাশিত:
৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১১:০০

আপডেট:
৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১১:০৮

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালক (প্রকৌশল) গ্রুপ ক্যাপ্টেন (অব.) খন্দকার সাজ্জাদুর রহিমের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। তিনি চুক্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত ছিলেন। অন্যদিকে প্রধান প্রকৌশলী (ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস) গাজী মাহমুদ ইকবালকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে কুর্মিটোলায় বিমানের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিমান পরিচালনা পর্ষদ সদস্য ও বিমান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মহিবুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মিশরের ইজিপ্ট এয়ারের কাছ থেকে লিজ নেওয়া দুটি উড়োজাহাজ ফেরত সংক্রান্ত বিষয়ে গাফিলতির কারণে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিমান পরিচালনা পর্ষদ।

বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল (অব.) মুহম্মাদ এনামুল বারীর সভাপতিত্বে সভায় সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। তবে এমডি নিয়োগ বিষয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।

সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল চুক্তিতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালক (প্রকৌশল) পদে নিয়োগ পান গ্রুপ ক্যাপ্টেন (অব.) খন্দকার সাজ্জাদুর রহিম। অন্যদিকে বিমানের স্থায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত গাজী মাহমুদ ইকবাল প্রধান প্রকৌশলী (ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস) পদে দায়িত্ব পালন করছেন।

গ্রুপ ক্যাপ্টেন (অব.)  খন্দকার সাজ্জাদুর রহিম প্রকৌশল বিভাগের পরিচালক পদে নিয়োগ পাওয়ার  আগে ২০১৭ সালের ২ মে থেকে ২০১৮ সালের ৪ এপ্রিল পর্যন্ত এ পদে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন গাজী মাহমুদ ইকবাল।

সূত্র জানায়, ২০১৪ সালে মিশরের ইজিপ্ট এয়ার থেকে ৫ বছরের চুক্তিতে ড্রাই লিজে দুটি বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর উড়োজাহাজ সংগ্রহ করে বিমান। ২০১৪ সালের মার্চে একটি উড়োজাহাজ (রেজিস্ট্রেশন নম্বর এস ২-এএইসএল, কনস্ট্রাকশন নম্বর ৩২৬৩০) বিমান বহরে য্ক্তু হয়। অপর উড়োজাহাজটি (রেজিস্ট্রেশন নম্বরএস২-এএইসকে, কনস্ট্রাকশন নম্বর ৩২৬২৯) যুক্ত হয় একই বছর মে মাসে।

লিজের চুক্তি অনুসারে উড়োজাহাজ দুটি যাত্রী পরিবহন করুক আর না করুক মাসে উড়োজাহাজ প্রতি ৫ লাখ ৮৫ হাজার ডলার (৪ কোটি ৭০ লাখ ১৬ হাজার টাকা) ভাড়া দিতে হবে। সব ধরনের রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় বিমানকে বহন করতে হবে। ৫ বছরের আগে চুক্তি বাতিল করতে পারবে না বিমান। লিজের মেয়াদ শেষে উড়োজাহাজ দুটি আগের অবস্থায় (ভাড়া নেওয়ার সময় যে অবস্থায় ছিল) ফেরত দিতে হবে। তবে ত্রুটিপূর্ণ উড়োজাহাজ দুটি দীর্ঘ সময় বিকল হয়ে পড়ে।

২০ জানুয়ারি বেসামরিক বিমান পরিবহন  প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কার্যালয়ে যান। এ সময় বিমান প্রতিমন্ত্রী ও সচিব লিজে আনা উড়োজাহাজের জন্য লোকসান হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। লিজে আনা দুটি উড়োজাহাজ আনার ক্ষেত্রে বিমান কর্তৃপক্ষের গাফিলতি আছে কি না, খতিয়ে দেখা শুরু করে মন্ত্রণালয়। বিমান দুটি ফেরত দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয় মন্ত্রণালয় থেকে।

এ বছর ১৬ জুলাই একটি উড়োজাহাজ ইজিপ্ট এয়ারকে ফেরত দেয় বিমান। ফেরত পাঠাতে  পাওনা পরিশোধসহ ৪.১ মিলিয়ন ডলার খরচ হয় বিমানের। অপর একটি উড়োজাহাজ এখনও ফেরত দিতে পারেনি বিমান।

 


আরপি/এএন



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top